লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ জুন ২০২৫: ভারতীয় সংস্কৃতিতে তুলসীর একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান রয়েছে। তুলসী গাছ প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পাওয়া যায় এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ এটিকে পূজা করেন। তুলসীকে আয়ুর্বেদেও একটি অমূল্য ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তুলসী চা, ক্বাথ বা নির্যাস প্রায়শই ব্যবহার করা হয়, তবে প্রায়শই একটি প্রশ্ন ওঠে যে তুলসী পাতা সরাসরি চিবানো উচিৎ কিনা? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
এখন প্রশ্ন জাগে যে কেন এমন হয়? যখন তুলসী এত উপকারী, তাহলে এর পাতা চিবানোর ক্ষতি কী হতে পারে? আসুন বৈজ্ঞানিক এবং ধর্মীয় উভয় দিক থেকেই এটি জানা যাক-
বৈজ্ঞানিক কারণ কী?
টিওআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তুলসী পাতায় পারদের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যখন আমরা তুলসী পাতা চিবিয়ে খাই, তখন এতে উপস্থিত পারদ ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেল (বাইরের স্তর) ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এটি চিবিয়ে খেলে দাঁতের সংবেদনশীলতা, ব্যথা বা দাঁতের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, তুলসী পাতার উপরিভাগে হালকা তীব্র প্রকৃতি থাকে, যা মুখের ভিতরের অংশে জ্বালা বা ক্ষতও সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়। তাই, আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরাও তুলসী চিবানোর পরিবর্তে এর নির্যাস বা জলে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ধর্মীয় কারণ
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, তুলসীকে দেবীর এক রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দুধর্মে তুলসীকে পূজা করা হয় এবং এটি অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। তাই, এর পাতা দাঁত দিয়ে কামড়ানো অপবিত্র বলে বিবেচিত হয়। শাস্ত্র অনুসারে, তুলসী পাতা হাত দিয়ে ছিঁড়ে সরাসরি গিলে ফেলা উচিৎ, দাঁত দিয়ে চিবানো উচিৎ নয়। কিছু বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী মাতাকে দাঁত দিয়ে কামড়ানো তাঁর অপমান করার মতো, যা নেতিবাচক শক্তির প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে, অনেকেই তুলসী খাওয়ার সময় প্রথমে এটি ছিঁড়ে পিষে বা জলে ফুটিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করেন।
সঠিক উপায় কী?
আপনি তুলসী যদি পাতার উপকারিতা পেতে চান, তাহলে সকালে খালি পেটে জলে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করতে পারেন। আপনি কিছু তুলসী পাতা মধু বা আদার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি তুলসীর ঔষধি গুণও প্রদান করে এবং দাঁতের ক্ষতি করে না।
No comments:
Post a Comment