খালি পেটে এই দুটি পাতা চিবিয়ে খান, রক্তে শর্করা বা রক্তচাপ দুই-ই থাকবে নিয়ন্ত্রণে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, July 21, 2025

খালি পেটে এই দুটি পাতা চিবিয়ে খান, রক্তে শর্করা বা রক্তচাপ দুই-ই থাকবে নিয়ন্ত্রণে

 


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ জুলাই ২০২৫: ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ দুটি এমন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা একবার শরীরে দেখা দিলে সারা জীবন থাকে। তাই রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করা দুটিই এমন রোগ যা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে হৃদরোগ, কিডনি ফেইলিউর, চোখের রোগ, স্নায়ুর ক্ষতি, পায়ে ক্ষত এবং গ্যাংগ্রিনের মতো অনেক রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপেও স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, কিডনির ক্ষতি এবং চোখের ক্ষতির মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। 


ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ হালকাভাবে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। নিয়মিত চেকআপ, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এই দুটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এই দুটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণে দেশীয় আয়ুর্বেদিক ভেষজ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই তাদের কাজ করে।


আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, আপনি যদি ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ উভয় রোগ বা যেকোনও একটি রোগের শিকার হন, তাহলে আপনার প্রতিদিন কেবল দুটি তুলসী পাতা এবং দুটি কারি পাতা খেয়ে নিন। প্রতিদিন এই দুটি ভেষজের দুটি পাতা খেলে ওষুধ ছাড়াই রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানও এই পাতাগুলিকে ঔষধ হিসাবে বিবেচনা করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আয়ুর্বেদ এবং অ্যালোপ্যাথি এই পাতাগুলিকে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে মনে করে।


তুলসী পাতা কীভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়?

আপনার যদি প্রি-ডায়াবেটিসের বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তুলসীর সমস্ত অংশ যেমন পাতা, কাণ্ড, বীজ আপনার উপকার করতে পারে। হেলথলাইনের মতে, তুলসী গাছটি প্রাকৃতিকভাবে রক্তে শর্করার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। ২০১৭ সালের একটি গবেষণা পর্যালোচনা অনুসারে, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খান, তাহলে তুলসী খাওয়া শর্করার মাত্রা অনেক কমাতে পারে, তাই আপনার খাদ্যতালিকায় তুলসী অন্তর্ভুক্ত করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।


আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি, তারা যদি প্রতিদিন তুলসী পাতা খান, তাহলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং চিনিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন তুলসী পাতা খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও ভালো হয়। যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি, তাদের প্রতিদিন এই পাতা খাওয়া উচিৎ, সারা দিন চিনি স্বাভাবিক থাকবে। এই পাতাগুলি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন তৈরি করে। তুলসীতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ধমনী পরিষ্কার এবং নমনীয় রাখে, যার কারণে রক্ত প্রবাহ সঠিক থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।


কারি পাতা কীভাবে রক্তচাপ এবং চিনি স্বাভাবিক করে?

কারি পাতা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো প্রমাণিত হয়। কারি পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হয়। এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। কারি পাতাকে মিষ্টি নিমও বলা হয়, এটি কেবল স্বাদই বাড়ায় না বরং ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। আয়ুর্বেদ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, এতে এমন উপাদান রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে এই উভয় রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারি পাতা শরীরের ইনসুলিন হরমোনকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তে উপস্থিত চিনি কোষে প্রবেশ করে এবং চিনির মাত্রা কমে যায়। কারি পাতা এক ধরণের প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং জল অপসারণ করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad