লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ জুলাই ২০২৫: আমাদের রান্নাঘরে রাখা মশলাগুলি কেবল খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তা নয়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এগুলি খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায় এবং অনেক রোগের চিকিৎসা করা যায়। এরকম একটি মশলা হল তেজপাতা, যা কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, তেজপাতা আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, তেজপাতা কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। এর প্রতিদিনের ব্যবহার কেবল হজমশক্তি উন্নত করে না বরং শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদানগুলিকেও দূর করে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশীষ গুপ্ত বলেছেন যে, তেজপাতা খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
তেজপাতা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি ঘরোয়া প্রতিকার, যা ডায়াবেটিস রোগীরা তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করতে পারেন। তেজপাতায় উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তেজপাতার গুঁড়ো খেলে HbA1c এর মাত্রাও উন্নত হয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
তেজপাতা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তেজপাতায় উপস্থিত হৃদরোগের জন্য উপকারী চর্বি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও উন্নত করে। এটি হৃদরোগকে সুস্থ রাখতে এবং ব্লকেজের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তেজপাতা খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো হয়।
ওজন কমাতে কার্যকর
ওজন কমাতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তেজপাতার জল পান করুন। তেজপাতার প্রকৃতি গরম, তাই এর জল কখনই রাতে খাওয়া উচিৎ নয়। তেজপাতা শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমকে শক্তিশালী করে। জল বা চা আকারে তেজপাতা খেলে চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং এটি ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণ করে।
শক্তিশালী হজম ব্যবস্থা
তেজপাতা হজম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গ্যাস, বদহজম এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো হজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক। এতে পাওয়া অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। এর ফলে পেট হালকা বোধ হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ
আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে, এটি ইউরিক অ্যাসিড স্ফটিক তৈরি করে, যাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়। অনেক গবেষণা অনুসারে, ইউরিক অ্যাসিড অর্থাৎ হাইপারইউরিসেমিয়া রোগীদের জন্য তেজপাতা খুবই উপকারী।
বি.দ্র: ফিটনেস রুটিন বা খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment