এই এক পানীয়তেই ধুয়ে-মুছে সাফ হবে শিরায় জমা কোলেস্টেরল, জেনে নিন কখন-কীভাবে পান করবেন - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, July 28, 2025

এই এক পানীয়তেই ধুয়ে-মুছে সাফ হবে শিরায় জমা কোলেস্টেরল, জেনে নিন কখন-কীভাবে পান করবেন


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৮ জুলাই ২০২৫: আজকের ব্যস্ত জীবনে কোলেস্টেরল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি হৃদরোগ সংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে কিছু জিনিস দিয়ে তৈরি জল পান করলে শরীরে জমে থাকা ময়লার সাথে কোলেস্টেরলও দ্রুত বেরিয়ে যায়। আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ডাঃ সেলিম জাইদি বলেন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে আদা খাওয়া খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়।


ডাঃ সেলিম জাইদি বলেন, কোলেস্টেরল হল মোমের মতো, চর্বি জাতীয় একটি পদার্থ, যা শরীরের কোষে পাওয়া যায়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তা শিরায় জমা হতে শুরু করে। শিরায় জমা কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে রক্তপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আদা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আদার সঠিক ব্যবহার হৃদপিণ্ড এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে।


কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খালি পেটে এটি খান-

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানুষ ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এমনকি নতুন নতুন ঘরোয়া প্রতিকারও গ্রহণ করে। আপনার রান্নাঘরে থাকা আদা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে একটি ঔষধ হতে পারে। আদা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আদার জল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে উপস্থিত জিঞ্জেরলের মতো জৈব সক্রিয় যৌগগুলি এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করতে পারে।


আদার জল কীভাবে বানাবেন?

আদার জল তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে ১ গ্লাস জল ঢেলে গ্যাসে রাখুন। গ্যাস চালু করুন এবং ধুয়ে কেটে এক টুকরো আদা যোগ করুন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক অর্থাৎ এক কাপ হয়ে গেলে, ছেঁকে চায়ের মতো পান করুন।


সকালে খালি পেটে আদার জল পান করার উপকারিতা-

সকালে খালি পেটে আদার জল পান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আদার জল পান করা হজম, প্রদাহ এবং হৃদরোগের পাশাপাশি ওজন হ্রাস, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।


হজমের উন্নতি করে

যাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের প্রতিদিন আদার জল পান করা উচিৎ। আদার জল পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপা নিরাময় করে। প্রতিদিন আদার জল পান করলে পেটে পাচক এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।


ওজন নিয়ন্ত্রণ

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যও আদার জল পান করা কার্যকর। নিয়মিত আদার জল পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কারণ আদাতে এমন অনেক যৌগ রয়েছে, যা শরীরে ক্যালোরি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, আদা যেসব মহিলাদের নিতম্বে অতিরিক্ত চর্বি জমে থাকে বা যাদের নিতম্ব-কোমরের অনুপাত বিঘ্নিত হয়, তাদের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।



বি.দ্র: নিজের ফিটনেস রুটিন বা খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad