কলকাতা, ১২ জুলাই ২০২৫, ২০:১০:০১ : কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (IIM-C)-এর এক ছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালেও, এবার ঘটনায় বড়সড় মোড় এসেছে। নির্যাতিতার বাবা দাবী করেছেন, তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়নি, বরং সে একটি অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৩৪ মিনিট নাগাদ তিনি একটি ফোনকল পান। সেখান থেকে জানানো হয়, তার মেয়ে অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, “আমার মেয়ে নিজেই জানিয়েছে, তাকে কেউ ধর্ষণ করেনি। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে আমার মেয়েকে মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় কিছু বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে সে জানিয়েছে। কিন্তু সে কিছুই বলেনি।”
তিনি আরও জানান, “আমি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সে জানিয়েছে, তার সঙ্গে কোনও ধরনের শারীরিক নির্যাতন হয়নি। এখন সে স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন পর ওর সঙ্গে কথা বললাম। ও এখন ঘুমোচ্ছে, ঘুম থেকে উঠলে আবার কথা বলব। থানায় অভিযোগপত্র লেখার জন্যও তাকে বলা হয়েছিল।”
বাবাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মেয়ের মানসিক অবস্থার কথা জানতে। উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মেয়ে পুরোপুরি ঠিক আছে।”
উল্লেখ্য, হরিদেবপুর থানায় দায়ের করা এফআইআরে ছাত্রীটি দাবী করেছিল, হোস্টেলে কাউন্সেলিংয়ের সময় তার পানীয়তে মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং তারপর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে দাবী করেছেন, আইআইএম-কলকাতা একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস, যেখানে প্রবেশাধিকার সীমিত। পরিচয়পত্র ও নাম নথিভুক্ত না হলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ সম্ভব নয় বলেও তিনি দাবী করেন। তার মতে, ছাত্রীর অভিযোগে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ দিন আগেও কলকাতার একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছিল।
No comments:
Post a Comment