প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২০:৩৮:০১ : রবিবার ‘শহীদ দিবস’-এর প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে ডোগরা সেনার গুলিতে নিহত ২২ জন শহীদের কবরস্থানের রাস্তাগুলি নিরাপত্তার কারণে সিল করে দেওয়া হয়। বহু রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দীও রাখা হয়।
তবে সোমবার সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ নকশবন্দ সাহেব কবরস্থানে গেট টপকে প্রবেশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে দেওয়াল টপকাচ্ছেন। তার অনুগামী নেতারাও গেট এবং দেওয়াল বেয়ে কবরস্থানে পৌঁছান।
ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ খানিয়ার চক থেকে একটি অটোরিকশায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছান। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী সাকিনা ইতু স্কুটিতে করে পৌঁছান সেখানে। পুরনো শহরের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ থাকায় ওমর আবদুল্লাহ গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে এক কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দেন।
প্রধান গেট বন্ধ থাকায় ওমর বাধ্য হন দেয়াল টপকাতে। কবরস্থানে প্রবেশ করে তিনি এবং অন্য নেতারা 'ফাতেহা' পাঠ করেন। পরে গেট খুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ওমর আবদুল্লাহ লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার নামে আমাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়। যখন গেট খোলা হয়, তখনই বাঙ্কার বসানো হয়, যেগুলি রাত পর্যন্ত সরানো হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আজও আমাদের থামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, এমনকি ধাক্কা দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে। এটা স্বাধীন দেশ, অথচ আমাদের দাস ভাবা হচ্ছে। আমরা জনগণের দাস, প্রশাসনের নয়।”
ওমর অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল এবং গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। “তারা ভাবে শহীদদের কবর শুধু ১৩ জুলাই-ই থাকে, অথচ শহীদরা সারা বছর আমাদের মনে রয়েছেন।”
তিনি জানান, ‘এক্স’-এ পোস্ট করে তিনি জানান যে, কেউ তাকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আটকাতে পারবে না। “আজ আমি হেঁটে এসেছি, দেওয়াল টপকে এসেছি, তবুও থামাতে পারেনি।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের ‘শহীদ দিবস’ আর গেজেটেড ছুটি হিসেবে স্বীকৃত নয়।
No comments:
Post a Comment