ঘরে তৈরি আচার শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যেরও বিশেষ যত্ন নেয়! জেনে নিন কীভাবে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, July 6, 2025

ঘরে তৈরি আচার শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যেরও বিশেষ যত্ন নেয়! জেনে নিন কীভাবে


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ জুলাই ২০২৫: অনেকেই আছেন পাতে আচার না থাকলে খাবারের স্বাদ পান না। এজন্য, অনেকেরই বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। শৈশবে দিদা-ঠাকুরমাদের তৈরি আচার এখনও স্মৃতিতে অম্লান। আম, লঙ্কা, আদা, রসুন, লেবু-সহ অনেক ধরণের শাকসবজি এবং ফলের আচার আজও অনেক বাড়িতে তৈরি করা হয়। এই আচারগুলি কেবল স্বাদের জন্যই নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যের ভাণ্ডারও।


আপনি যদি মনে করেন যে লবণ এবং তেলে মোড়ানো এই আচারগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তাহলে অবশ্যই একবার ডাক্তারদের কথা শুনুন। ডাক্তাররা বলেন যে, বাড়িতে তৈরি আচার কেবল সারা বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট ফল বা সবজি খাওয়ার উপায় নয় বরং মশলা দিয়ে মোড়ানোর কারণে স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এটি এমন একটি ঘরোয়া প্রতিকার যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে।


কোন আচার বেশি উপকারী

রসুন, আদা, আম এবং লেবুর আচার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। এগুলি খেলে শরীর শক্তিশালী হয় এবং বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যখন ঘরের রান্নাঘর থেকে ভালোবাসার সাথে পরিবেশিত আচার প্লেটে আসে, তখন কেবল স্বাদই নয়, আত্মীয়তার অনুভূতিও যোগ হয়।


আচার খাওয়ার উপকারিতা-

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ:

আচার লেবুর আচারের মতোই গাঁজন করা হয়। এতে অনেক ধরণের প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এগুলি একই আচার যা আমাদের দিদা-ঠাকুরমারা খুব যত্ন সহকারে রোদে রাখতেন, যাতে আমরা প্রতিটি চামচে সুস্বাস্থ্য পেতে পারি।


ওজন কমাতে সাহায্য করে:

লেবুর আচার বা অন্যান্য আচারে উচ্চ ফাইবার থাকে এবং ক্যালোরি কম থাকে। ওজন কমানোর সময় যদি এগুলি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে মনও ভরে যায় এবং বারবার ক্ষিদেও লাগে না। তবে মনে রাখবেন কেবল ঘরে তৈরি আচারই খাওয়া ভালো, কারণ বাজার থেকে প্যাকেটজাত আচারে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম এবং প্রিজারভেটিভ থাকে।


পায়ের খিঁচুনি দূর করে:

লেবুর আচারের মশলা চাটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরে তরলের অভাব হলে খিঁচুনি হওয়া সাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে, লেবুর আচার চাটার পর জল পান করলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি একই ঘরোয়া প্রতিকার যা আমাদের দিদা-ঠাকুরমারা গ্রহণ করতেন।


বি.দ্র: শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বা খাদ্য তালিকায় কোনও পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad