প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০:০১ : সনাতন ধর্মে যেকোনও পূজা-পার্বণ কিংবা শুভ কাজের সময় কব্জিতে কলাভা (রাক্ষসসূত্র) বাঁধার প্রচলন রয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, কলাভা পরলে অশুভ শক্তি ও কু-দৃষ্টির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া, এটি শুভ শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং দেব-দেবীর আশীর্বাদ সর্বদা পরিধানকারীর উপর বজায় থাকে। তবে অনেকেই জানেন না যে, কলাভা বাঁধা ও খোলারও কিছু বিশেষ নিয়ম আছে, যেগুলি জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশদভাবে বলা হয়েছে।
কলাভা কতবার মোড়ানো উচিত?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কলাভা বাঁধার সময় হাতে মুষ্টিবদ্ধ কিছু থাকা উচিত। এটি হতে পারে কয়েন, টাকা বা কিছু খাদ্যশস্যের দানা। সেই সঙ্গে, অপর হাতটি মাথার উপরে রাখতে বলা হয়। কলাভা বাঁধার সময় যিনি এটি পরিয়ে দিচ্ছেন, তাকে দক্ষিণা দেওয়াও শুভ বলে মনে করা হয়।
অনেকেই জানতে চান, কতবার কলাভা জড়ানো উচিত? জ্যোতিষ মতে, কলাভা হাতে ৩, ৫ বা ৭ বার জড়ানো সর্বোত্তম ও শুভফলদায়ক।
কলাভা বাঁধার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, কলাভা বাঁধার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক যুক্তিও। কব্জির নির্দিষ্ট জায়গায় কলাভা বাঁধলে সেটি আকুপ্রেশার পয়েন্টে চাপ সৃষ্টি করে, যা শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকে। এছাড়াও, বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য আনতে এটি সহায়ক বলে অনেকে মনে করেন।
উপসংহার
কলাভা শুধুই একটি ধর্মীয় রীতি নয়, এটি আত্মিক ও শারীরিক সুস্থতার একটি প্রতীক। সঠিক নিয়মে কলাভা বাঁধলে তা আমাদের জীবনে শান্তি, শক্তি এবং সুরক্ষা বয়ে আনতে পারে। তাই পরবর্তী বার কলাভা বাঁধার সময় এই নিয়মগুলি মনে রাখুন তবেই আপনি পূর্ণভাবে তার সুফল লাভ করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment