ইরানকে ৬০ দিনের আল্টিমেটাম! খামেনি রাজি না হলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে আমেরিকা-ইজরায়েল - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, July 12, 2025

ইরানকে ৬০ দিনের আল্টিমেটাম! খামেনি রাজি না হলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে আমেরিকা-ইজরায়েল



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৯:০১ : ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে এখনও সবকিছু স্বাভাবিক হয়নি। অন্তত আমেরিকা থেকে ফিরে আসা নেতানিয়াহুর নতুন হুমকি থেকে এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নেতানিয়াহু খামেনিকে আগামী দুই মাসের মধ্যে আমেরিকার সাথে একটি চুক্তি করার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই সতর্কবার্তা দিয়ে যে যদি চুক্তি না হয় তবে ইজরায়েল ও আমেরিকা ইরানের সাথে এমনভাবে আচরণ করবে যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। তাই এখন প্রশ্ন হল দুই মাস পরে কী হতে চলেছে?


ইরানের পারমাণবিক অভিযান কীভাবে বন্ধ করা হবে? এই মুহূর্তে নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের সামনে এটাই প্রশ্ন। ইরান কি আলোচনার মাধ্যমে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে নাকি ইজরায়েল ও আমেরিকা তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আক্রমণ করে ধ্বংস করবে? এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে এটিই আলোচনার বিষয়। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার মার্কিন সফর শেষ করে তেল আবিবে ফিরে এসেছেন। ট্রাম্পের অনুরোধে নেতানিয়াহু ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন।

নেতানিয়াহু ইরানকে ১১ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা দিয়েছেন। ৬০ দিনের মধ্যে ইরানকে আমেরিকার সাথে একটি চুক্তি করতে হবে। তার আগে, তাকে তার পারমাণবিক সক্ষমতাও শেষ করতে হবে। যদি ইরান ৬০ দিনের মধ্যে কোনও চুক্তি না করে, তাহলে ইজরায়েল তাদের নিজস্ব পদ্ধতি গ্রহণ করবে। নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প বহুবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না। তারা আরব সমীকরণ পরিবর্তন করতে দেবে না। ইরানকে থামাতে ইজরায়েল এবং আমেরিকা যেকোনো সীমা পর্যন্ত যেতে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আমেরিকা ইরানে আক্রমণ করে ভুল করেছে। ইরান এখন তখনই আলোচনার টেবিলে আসবে যখন আমেরিকা তার ভুল স্বীকার করবে। আমেরিকার উচিত কেবল ইরানের কাছে ক্ষমা চাওয়া নয়, বরং তার আক্রমণে ইরানের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণও দেওয়া। মনে হচ্ছে না আমেরিকা এই শর্তগুলিতে রাজি হবে। এমন পরিস্থিতিতে ইরান আলোচনার টেবিলে আসবে না। আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে কোনও চুক্তি হবে না। তাই প্রশ্ন হল যে ইরান যদি ২ মাসের মধ্যে কোনও চুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে ইরানের পারমাণবিক মিশনের বিরুদ্ধে ইজরায়েল এবং আমেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?


প্রশ্ন হলো ইরানের পারমাণবিক অভিযান কীভাবে বন্ধ হবে? ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু এটি বন্ধ করতে কী করতে পারেন? প্রথম বিকল্প হলো আমেরিকা ও ইজরায়েল ইরানের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করবে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধ্বংস করা। তৃতীয় বিকল্প হলো আমেরিকা আবারও ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে বোমা হামলা চালাবে। চতুর্থ বিকল্প হলো, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে। এর আওতায় ইজরায়েল ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্রে স্থল অভিযানও শুরু করতে পারে। পঞ্চম ও চূড়ান্ত বিকল্প হলো, ইজরায়েল ও আমেরিকা একসাথে ইরানের বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করবে।

নেতানিয়াহুর পর এখন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন। কাটজ ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝানোর চেষ্টাও করবেন। অন্যদিকে, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন যে ইরান আমেরিকাকে ধ্বংস করতে চায়। ইরান ইজরায়েলকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ইজরায়েলই একমাত্র দেশ যারা কেবল ইরানের পথেই দাঁড়িয়ে নেই বরং এর বিরুদ্ধে লড়াইও করছে। একদিকে নেতানিয়াহু ইরানকে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলছেন, অন্যদিকে ইজরায়েলি সামরিক আধিকারিকরা ঘোষণা করছেন যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এখনও নিরাপদ। ইজরায়েল এবং আমেরিকার মিশন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad