শিশু ঘুমানোর পর কি দম্পতিরা একই ঘরে ঘনিষ্ঠ হতে পারে? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, July 11, 2025

শিশু ঘুমানোর পর কি দম্পতিরা একই ঘরে ঘনিষ্ঠ হতে পারে? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুলাই ২০২৫: সন্তান যখন ছোট থাকে, তখন সে তার বাবা-মায়ের সাথেই ঘুমায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তগুলি খুব সীমিত হয়ে পড়ে। তবে এটাও সত্য যে, একটি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা এবং স্নেহ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় মনে প্রশ্ন জাগে যে, স্বামী-স্ত্রী কি এই সময়ে তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিরাপদে বজায় রাখতে পারবেন? স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানসিক এবং শারীরিক বন্ধন গুরুত্বপূর্ণ, তবে সন্তানের মানসিক এবং মানসিক সুরক্ষা তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাবা-মায়ের বোঝা উচিৎ কখন এবং কীভাবে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সঠিক এবং কখন নয়। এই বিষয়ে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উপাসনা সেটিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু আকর্ষণীয় তথ্য শেয়ার করেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ডাক্তার কী বলছেন-


১ বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য আলাদা ঘর প্রয়োজন-

ডাঃ উপাসনা বলেন যে, যদি আপনার সন্তান এক বছরের বেশি বয়সী হয়, তাহলে বাবা-মায়ের জন্য আলাদা শোওয়ার ঘর থাকা ভালো। আসলে, শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের বোধগম্যতা এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তারা তাদের চারপাশের প্রতিটি কার্যকলাপ অনুভব করতে শুরু করে, এমনকি শব্দ এবং পরিবেশও চিনতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, একই ঘরে থেকে বাবা-মায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়া শিশুর মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


এক বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন-

শিশুটি যদি এক বছরের কম বয়সী হয় এবং গভীর ঘুমে থাকে, তাহলে দম্পতি সাবধানে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন। তবে, এই সময় খুব সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও জোরে শব্দ, হঠাৎ নড়াচড়া বা তাড়াহুড়ো শিশুকে জাগিয়ে তুলতে পারে, যা তাকে ভীত, বিভ্রান্ত বা অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে। সম্ভব হলে ভালো হবে, শিশু ঘুমিয়ে পড়ার পর অন্য ঘরে চলে যান।


দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুরা বোধগম্যতা বিকাশ করে-

দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুরা শব্দ, নড়াচড়া এবং পরিবেশ ভালোভাবে বুঝতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের চারপাশের এই ধরণের কার্যকলাপ তাদের বিভ্রান্ত, অনিরাপদ বা বিরক্ত করতে পারে। শিশুটি যদি হঠাৎ জেগে ওঠে বা আপনাকে লক্ষ্য করে, তাহলে তার মনে ভয়, মানসিক ভারসাম্যহীনতা বা মানসিক চাপের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর ফলে, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।


ঘনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ, তবে শিশুর নিরাপত্তা সবার আগে আসে-

ঘনিষ্ঠতা কেবল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্যই নয়, মানসিক ভারসাম্য এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসার রঙ বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাবা-মা হওয়ার অর্থ হল আপনার সন্তানদের মানসিক সুরক্ষার প্রতি পূর্ণ যত্ন নেওয়া। তাই শিশু যে ঘরে ঘুমাচ্ছে সেই ঘরে এই মুহূর্তগুলি ভাগ করে নেওয়া এড়িয়ে চলুন। শুধুমাত্র সন্তানের অনুপস্থিতিতে একে অপরের কাছাকাছি আসুন। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং শিশুটিও নিরাপদ বোধ করবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad