কলকাতা, ১১ জুলাই ২০২৫: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই নেতৃত্ব জানান, কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভবিষ্যতে শিল্প, পর্যটন ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছে। প্রভাবিত হয়েছে ভাবমূর্তি। সেসব ঝেড়ে ফেলে জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন ক্ষেত্রকে ফের চাঙ্গা করতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সে কারণে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওমর আবদুল্লা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাশ্মীর সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা চাই, বাংলার মানুষ আরও বেশি করে কাশ্মীর ভ্রমণে আসুন। তাঁদের জন্য সমস্তরকম নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে।” পাশাপাশি তিনি জানান, শিল্প ও পর্যটনের ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের মধ্যে যৌথভাবে কাজের পথ খোলা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ওমর জি'র আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। পুজোর পর কাশ্মীর যাব। নিরাপত্তা নিয়ে ওমর জি-ই আশ্বস্ত করেছেন। তবে সীমান্ত সুরক্ষা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ ঐ রাজ্যের সরকারের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা জোরদার করা।”
কাশ্মীরকে ‘দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জায়গা’ বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আমি কাশ্মীরকে ভালোবাসি, কাশ্মীরের ভাই-বোনদের ভালোবাসি। কাশ্মীরের পাশে থাকব সব সময়। পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মীর সরকার একসঙ্গে পর্যটন ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে কাজ করবে।”
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর প্রথমবার বাংলায় এলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র অন্যতম শরিক ওমর আবদুল্লা। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও পুঞ্চেতে বাংলা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment