প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৫:০১ : 'কাশ্মীরকে আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই', এই বার্তাই ফের জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বুধবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, “আমি ফাঁকা জম্মু-কাশ্মীরকে প্রোমোট করতে আসিনি, এসেছি কাশ্মীরের পর্যটনে নতুন গতি আনতে।”
২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু গোটা রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিল। অনেক পর্যটকই সেই ভয়ে কাশ্মীরমুখো হতে চায়নি। ওমর আবদুল্লার কথায়, “২০২৫ সাল আমাদের কাছে সহজ নয়। সেই হামলার আগে জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা করে প্রোমোট করতে হত না। কারণ তখন আমরা পর্যটনের শিখরে ছিলাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক আছে, সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু এবার অমরনাথ যাত্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাঁরা ফিরে এসে বলুন, তাঁরা কি নিজেকে নিরাপদ ভাবেননি?”
তিনি জানান, সেই হামলার পর কাশ্মীরের হোটেলগুলো একপ্রকার ফাঁকা পড়ে ছিল। কিন্তু এখন ফের পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ভরা হোটেল থেকে খালি হোটেল, ভরা ডাল লেক থেকে খালি ডাল লেক—সবই দেখেছি। হামলার পরে যেখানে দিনে মাত্র ১৫টি বিমান চলত, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০ থেকে ২৫টি। এমনকি কলকাতা থেকেও সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে।”
ওমর আবদুল্লা জানান, “কাশ্মীর এখন আর ফাঁকা নয়। পাহাড়, জঙ্গল, নদী—সবই রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতায় কাজ করছে। জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে চলছে তল্লাশি, যাতে তারা সাধারণ মানুষের বা পর্যটকদের এলাকায় কোনওভাবেই ঢুকতে না পারে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীরের সম্পর্ক বহু পুরনো। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ যেমন কাশ্মীরকে ভালোবাসেন, তেমনি কাশ্মীরবাসীর কাছেও বাংলার গুরুত্ব কম নয়। ৯০-এর দশক থেকেই বাংলা ও গুজরাট কাশ্মীরের পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
পর্যটকদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিরাপত্তার দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। পহেলগামও খুলে গেছে, যদিও কিছু নির্দিষ্ট স্থানে এখনও নিরাপত্তা অডিট চলছে। তবে সেটা সাময়িক। আপনারা আসুন, জম্মু-কাশ্মীর প্রস্তুত আপনাদের স্বাগত জানাতে।”
No comments:
Post a Comment