বিনোদন ডেস্ক, ৩০ জুলাই ২০২৫: সিনে জগতে নানান রকম ঘটনা ঘটে থাকে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ করেছেন বলিউড ও দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঈশা কোপিকর। পুরনো কথা মনে করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি। হিন্দি রাশের সাথে এক আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে 'চন্দ্রলেখা' ছবির শুটিং চলাকালীন তাঁকে সুপারস্টার নাগার্জুন আক্কিনেনির থেকে ১৪টি চড় খেতে হয়েছিল। তবে, এই চড়গুলি কোনও ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে নয় বরং একটি দৃশ্যের খাতিরেই করতে হয়েছিল। তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন এবং দর্শকদের সাথে পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সময় কী ধরণের পরিস্থিতি ছিল তাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
ঈশা কোপ্পিকর জানিয়েছেন, এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি এবং তিনি নিজেকে একজন নিবেদিতপ্রাণ অভিনেত্রী বলে মনে করেন। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর আবেগ এবং প্রতিক্রিয়াগুলি পর্দায় সম্পূর্ণ বাস্তব দেখাক। সেই কারণেই তিনি নিজেই নাগার্জুনকে দৃশ্যটির জন্য তাঁকে বাস্তবেই চড় মারতে বলেছিলেন। নাগার্জুন যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সত্যিই এর জন্য প্রস্তুত কিনা, তখন ঈশা বলেন, 'হ্যাঁ, আমি একটি বাস্তব অনুভূতি চাই।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'আমি চড়ও অনুভব করতে পারিনি।' নাগার্জুন আমাকে ভালোবেসে থাপ্পড় মেরেছিলেন কিন্তু পরিচালক বলেছিলেন যে, আমাকে থাপ্পড়ের প্রভাব ক্যামেরার সামনে দেখাতে হবে। আমার আরেকটি সমস্যা ছিল আমি বাস্তব জীবনে রাগ করতে পারি, কিন্তু ক্যামেরার সামনে রাগ করতে পারি না। এই প্রক্রিয়ায়, আমি ১৪ বার থাপ্পড় খেয়েছি এবং আমার মুখেও দাগ পড়েছে।'
ঈশা আরও জানান, দৃশ্যটি শেষ হওয়ার পর, নাগার্জুন খুব অস্বস্তিতে পড়েছিলেন এবং তিনি বারবার তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। ঈশা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, এটি তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং নাগার্জুনের ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, 'চন্দ্রলেখা' ছবিতে নাগার্জুন, ইশা কোপ্পিকর এবং রম্য কৃষ্ণ মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। ছবির এই ঘটনাটি এখনও ঈশার জন্য স্মরণীয় কারণ এটি তাঁর পেশাদার নিষ্ঠা এবং পদ্ধতিগত অভিনয়ের প্রতি আবেগকে প্রকাশ করে। এই অভিজ্ঞতা থেকে ঈশা আরও একটি বড় শিক্ষা পেয়েছেন যে, বাস্তব অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষায়, কখনও কখনও অভিনেতাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হয়।
No comments:
Post a Comment