লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ জুলাই ২০২৫: শ্রাবণ মাসকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা। আর এই মাস স্বাস্থ্যের দিক থেকে সংবেদনশীল। বর্ষাকালে, বায়ুমণ্ডলে উচ্চ আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে, কিছু খাবার খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, যার মধ্যে দুধ এবং দই প্রধান।
শ্রাবণে দুধ এবং দই কেন খাওয়া উচিৎ নয়?
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি: দুধ এবং দই পচনশীল পণ্য। শ্রাবণের সময় বাতাসে উপস্থিত আর্দ্রতার কারণে, এগুলি দ্রুত টক বা সংক্রামিত হতে পারে, যা খাদ্যে বিষক্রিয়া, পেট ব্যথা এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পাচনতন্ত্রের উপর প্রভাব: এই ঋতুতে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। দুধ এবং দই ভারী হয়, যা হজম করা কঠিন হতে পারে। এর ফলে বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
আয়ুর্বেদের স্বীকৃতি: আয়ুর্বেদের মতে, শ্রাবণে বাত এবং কফ দোষ বৃদ্ধি পায়। দুধ এবং দই এই দোষগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে সর্দি, কাশি, ফ্লু এবং অ্যালার্জি হতে পারে।
শ্রাবণে কোন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলা উচিৎ?
- দই এবং বাটারমিল্ক খাবেন না, বিশেষ করে রাতে।
- আমিষ খাবার-হজমে ভারী এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- সবুজ শাকসবজি- এগুলিতে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ভারী তৈলাক্ত এবং ভাজা খাবার, এগুলি হজমতন্ত্রের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেয়।
- কাটা ফল দীর্ঘক্ষণ রাখবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- ঠাণ্ডা পানীয় বা আইসক্রিম, এগুলি কাশি এবং সর্দি বাড়াতে পারে।
শ্রাবণে কী খাবেন?
- মুগ ডাল, খিচুড়ি, ফল, স্যুপের মতো হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য জিনিস।
- সেদ্ধ বা ভাপানো সবজি।
- তুলসী, আদা এবং কালো গোলমরিচের মতো প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী।
- গরম জল এবং ভেষজ চা।
শ্রাবণে খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ঋতুতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দুধ এবং দইয়ের মতো ভারী এবং দ্রুত পচনশীল পদার্থ এড়িয়ে চলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সুস্থ ও উদ্যমী থাকার জন্য এই ঋতুতে হালকা, সহজে হজমযোগ্য এবং উষ্ণ খাবার খান।
No comments:
Post a Comment