কলকাতা, ২১ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৪:০১ : ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সভা ঘিরে যেমন ছিল জনজোয়ার, তেমনই পাল্টা রাজনৈতিক আগুন ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গেও। শিলিগুড়িতে বিজেপির ‘উত্তরকন্যা অভিযান’ কর্মসূচি থেকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “ধর্মতলায় যে ভিড় দেখা গেল, সেটা কোনও রাজনৈতিক সমর্থকের নয়। ওই ভিড় আসলে রোহিঙ্গা আর দাগি চোরদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সামনেই বক্তৃতা দিলেন।” এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু। তৃণমূলের সভাকে কটাক্ষ করে বলেন, “২১ জুলাইয়ের সভা নয়, ওটা একটা পাগলু নাচের অনুষ্ঠান। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে, ডিম-ভাত খাইয়ে, এসি বাসে করে আনানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলায় এখন গরু বা কয়লা পাচার নেই। গাছ কেটে পালানো নেই, কাপড়জামা শুকোতেও ভয় নেই। কারণ যারা এসব করত, তারা এখন ধর্মতলায়। একদিকে পাচারের চক্র বন্ধ, অন্যদিকে ওদের সবাই আজ তৃণমূলের ডিম-ভাত কর্মসূচিতে মজে।”
বিজেপির দাবী, ধর্মতলার জমায়েত যেনতেনভাবে ভরে তোলা হলেও, তাঁদের ‘উত্তরকন্যা অভিযান’-এ এসেছেন প্রকৃত জনতা। শয়ে শয়ে মানুষ এসেছেন কোনও লোভ ছাড়া না ডিম-ভাত, না এসি গাড়ি, এমনকি এক বোতল জলও দেওয়া হয়নি তাঁদের। তবুও এসেছেন দলীয় আদর্শে বিশ্বাস রেখে। শুভেন্দুর বার্তা, “এইভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই হবে, জনতার শক্তিতে।”
একই মঞ্চ থেকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও আক্রমণের সুর চড়ান। তিনি বলেন, “তৃণমূলের চোর নেতা-মন্ত্রীরা ‘উত্তরকন্যা’কে অপবিত্র করেছেন। আজকের অভিযান সেই অপবিত্রতা দূর করার লড়াই।” শঙ্করের দাবী, “২০২৬ সালের পর উত্তরকন্যা থেকেই চালানো হবে বিজেপির মন্ত্রিসভা।”
No comments:
Post a Comment