কলকাতা, ০৯ জুলাই ২০২৫: হাসপাতালে গিয়ে দাদাগিরি তৃণমূল বিধায়কের। কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে গিয়ে দাদাগিরির অভিযোগ উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে। বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ বিভাগীয় প্রধানের।
সূত্রে খবর, বুধবার সকালে স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কাঞ্চন। দেখাতে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়াকে। আর আউটডোরে ভিড় দেখে মেজাজ হারান তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন কাঞ্চন। তাঁকে বদলি করিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে বিধায়কের এমন আচরণ দেখে প্রতিবাদ শুরু করেন পাশে থাকা অন্যান্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা।
জুনিয়র চিকিৎসকেরাও জানান, ঘটনার সময় বিভাগীয় প্রধান রোগী দেখছিলেন। কিন্তু কাঞ্চন মল্লিক তাঁদের গিয়ে দেখার কথা বলেন। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসক জানান, যে রোগীকে দেখছেন, তাঁকে দেখে দেখবেন। আর এর পরেই শুরু হয় দুর্ব্যবহার। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক বিভাগীয় প্রধানকে যা যা বলেছেন, তা যথেষ্ট অসম্মানজনক। তাঁকে শান্ত করতে চাইলেও তিনি থামেননি বরং আরও দুর্ব্যবহার করতে থাকেন।
কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান মেহবুবার রহমান এই বিষয়ে জানান, ওনাদের হয়তো একটু অপেক্ষা করতে হয়েছিল...কেন উনি রাগলেন বুঝতে পারিনি। ওনার ব্যবহার আমার খারাপ লেগেছে। এভাবে একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা যায় না। আমি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।'
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। উল্টে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন কাঞ্চন। তাঁর অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমেই দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। এর পরেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কাঞ্চনের কথায়, বিধায়ক হওয়ার সুবিধা যদি নিতাম, তাহলে কি ওপিডিতে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে যেতাম? আমি বিধায়ক বলেই আজ আমার দিকে আঙুল তোলা সহজ।' বিধায়কের আরও দাবী, বৃষ্টির দিন হওয়ায় হাসপাতালে তেমন ভিড় ছিল না। অন্যান্য রোগীরাও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বিক্ষোভ দেখায়নি।
No comments:
Post a Comment