প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩:০১ : গুজরাটের মহিসাগর নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়েছে। সেতুটি ভেঙে এখন পর্যন্ত ৫টি গাড়ি সেতুতে পড়ে গেছে। ৮ জন মারা গেছেন এবং কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই সেতুটি ১৯৮৫ সালে নির্মিত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ঘটনাস্থলে কারিগরি বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
সেতুটি ভেঙে পড়ার ঘটনা সম্পর্কে সড়ক ও ভবন বিভাগের সচিব পিআর পাটেলিয়া বলেন, "গম্ভীরা সেতুর ক্ষতির বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।"
এই সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে নদীতে পড়ে যাওয়া ৫টি গাড়ির মধ্যে দুটি ট্রাক সম্পূর্ণ নদীতে ডুবে যায়, অন্যদিকে একটি ট্যাঙ্কার অর্ধেক ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। সেতুটি ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়।
এই সেতুটি ১৯৮১ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং ১৯৮৫ সালে চালু হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এর অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক চৈতন্য সিং ঝালা ইতিমধ্যেই এই সেতু সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এবং নতুন সেতুর দাবী জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়নি। এখন সরকার ২১২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন সেতু নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে এবং এর জন্য একটি জরিপও করা হয়েছে।
ঘটনার গুরুত্ব দেখে, মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই আধিকারিকরা সক্রিয় হন এবং নদীতে পড়ে থাকা যানবাহনগুলি সরানোর কাজ শুরু করা হয়। এছাড়াও, সাঁতারুরা মৃতদেহগুলি বের করতে শুরু করেন।
এই ঘটনাটি আবারও পুরনো এবং দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদি সময়মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ করে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু করা যেত, তাহলে সম্ভবত এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এখন দেখার বিষয় তদন্ত প্রতিবেদনে কী বেরিয়ে আসে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment