প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০:০১ : আজকাল, পুত্রবধূদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তাদের শাশুড়িরা ছোটখাটো বিষয়ে তাদের উপর রেগে যান। প্রতিদিনই ঘরে কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। কখনও রান্নাঘরে লবণ কম থাকে, কখনও কখনও কাপড় ইস্ত্রি করা নিয়ে, এই ধরনের ছোটখাটো বিষয়গুলিও হট্টগোলের সৃষ্টি করে। এর ফলে পুত্রবধূ একাকী বোধ করতে শুরু করেন এবং পরিবেশও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কখনও কখনও বিষয়টি এতটাই বেড়ে যায় যে স্বামীও অস্বস্তিতে পড়ে যান। জ্যোতিষী এবং বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ অংশুল ত্রিপাঠীর মতে, বাস্তুশাস্ত্রে কিছু সহজ প্রতিকার রয়েছে, যা করলে ঘরের পরিবেশ বদলে যেতে পারে। বিশেষ করে শাশুড়ির আচরণ পুত্রবধূর প্রতি কোমল হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন যে বাস্তু কেবল ইট-পাথরের খেলা নয়, এটি আপনার মন এবং সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে। যা প্রয়োজন তা হল একটু মনোযোগ দেওয়া।
তাঁর মতে, যদি ঘরে বাস্তুতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়, তাহলে শাশুড়ি তার ছেলের চেয়ে একই পুত্রবধূকে বেশি ভালোবাসতে শুরু করেন। এখন কল্পনা করুন যখন আপনার শাশুড়ি নিজেই তার ছেলের চেয়ে আপনার সাথে আচরণ শুরু করবেন, তখন ঘরের পরিবেশ কতটা মিষ্টি এবং মনোরম হয়ে উঠবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সহজ বাস্তু প্রতিকার কী যা আপনার জীবনেও সুখ আনতে পারে।
জ্যোতিষী অংশুল ত্রিপাঠীর মতে, শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা মূলত ঘরের নেতিবাচক শক্তির কারণে হয়। যখন ঘরে বাস্তু ত্রুটি থাকে, তখন তা সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে। অনেক সময় দক্ষিণ দিকের ত্রুটি, অথবা রান্নাঘর ভুল দিকে থাকাও পরিবারে ঝগড়া বাড়ায়। শাশুড়ির মনে হয় যে পুত্রবধূ তার কথা শোনে না, এবং পুত্রবধূর মনে হয় যে শাশুড়ি সর্বদা দোষ খুঁজে বেড়ায়।
জ্যোতিষী অংশুল ত্রিপাঠীর মতে, প্রথমে আপনার বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণ (যাকে বায়ু কোণও বলা হয়) পরিষ্কার রাখুন। সেখানে কোনও ধরণের আবর্জনা, ভাঙা আসবাবপত্র, পুরানো জুতা বা নোংরা কাপড় একেবারেই রাখবেন না। এই দিকে, আপনি একটি ছোট রূপার পাত্রে জাফরান এবং কর্পূরও রাখতে পারেন। এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং সম্পর্কের মাধুর্য বাড়ায়।
প্রতিদিন সকালে আপনার বাড়ির প্রধান ফটকে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন। বৃহস্পতিবার, কলা গাছে জল অর্পণ করুন এবং আপনার শাশুড়ির দীর্ঘায়ু কামনা করুন। সপ্তাহে একবার, আপনার পছন্দের মিষ্টি জিনিস যেমন ক্ষীর বা হালুয়া তৈরি করুন এবং আপনার শাশুড়িকে খাওয়ান। ঘরে ঝাড়ু বেশিক্ষণ না রেখে, সবসময় দাঁড়িয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, উত্তর-পশ্চিম দিক সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন এই জায়গাটি পরিষ্কার এবং ইতিবাচক থাকে, তখন বাড়ির মহিলারা, বিশেষ করে শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। ধীরে ধীরে, শাশুড়ির আচরণ নরম হতে শুরু করে এবং তিনি আপনাকে তার ছেলের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে শুরু করেন। এতে স্বামী খুশি থাকে এবং ঘরের পুরো পরিবেশ ভালোবাসায় ভরে যায়।
ঘরে কখনও ভাঙা বাসন রাখবেন না। শাশুড়ির সাথে বসে সন্ধ্যার চা খান, এতে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন সকালে তুলসী গাছে জল দিন এবং ঘি প্রদীপ জ্বালান, এতে ঘরে শান্তি বজায় থাকে। আপনার শোবার ঘরে ঈশ্বরের ছবি রাখবেন না, কেবল পূজার স্থানে রাখুন।
তাই এখন যখনই আপনার মনে হবে যে আপনার শাশুড়ির সাথে বিরোধ বাড়ছে, তখন অবশ্যই জ্যোতিষী এবং বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ অংশুল ত্রিপাঠীর পরামর্শ দেওয়া এই ছোট বাস্তু প্রতিকারগুলি গ্রহণ করুন। বিশ্বাস করুন, আপনার সম্পর্কের মধ্যে এত মধুর পরিবর্তন আসবে যে আপনার শাশুড়ি নিজেই আপনাকে তার ছেলের চেয়ে বেশি সম্মান করতে শুরু করবেন।
No comments:
Post a Comment