দিল্লির রাস্তায় পথকুকুর সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। একদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানালেন চলচ্চিত্র পরিচালক রামগোপাল বর্মা, অন্যদিকে কলকাতা-সহ একাধিক শহরে নাগরিক সমাজ ও পশুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আদালতের রায় ও প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি দিল্লির জনবহুল এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায় প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সমাজের একাংশ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। কলকাতায় বহু সংগঠন ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পথকুকুরদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, প্রাণীদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানবিকতার পরিপন্থী।
রামগোপালের মন্তব্য
এই অবস্থায় পরিচালকের বক্তব্য আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। রামগোপাল বর্মা তাঁর এক্স (Twitter/X) হ্যান্ডলে লেখেন, “আট কোটি কুকুরকে টিকা দেওয়ার কথা শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু টিকাকরণ করলেই কুকুর ভদ্র হয়ে যাবে, এমনটা নয়।” তিনি আরও দাবি করেন, “যাঁরা পথকুকুরদের জন্য আন্দোলন করছেন, তাঁদের অনেকের ঘরেই বিদেশি কুকুর রয়েছে। তাঁরা চাইলে বরং পথকুকুরদের দত্তক নিয়ে দেখুন।”
এছাড়া তিনি পথকুকুরপ্রেমীদের ব্যঙ্গ করে ‘মাথামোটা’ বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও পরিচালক স্বীকার করেছেন, অনেকেই তাঁকে কুকুরবিদ্বেষী ভাবতে পারেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পথকুকুরের কামড়ে সাধারণ নাগরিক ও শিশুদের আহত হওয়ার ঘটনা তাঁকে উদ্বিগ্ন করেছে বলেও জানান।
নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
কলকাতায় বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শহর থেকে পথকুকুর সরানোর চেষ্টা নয়, বরং টিকাকরণ, নির্বীজন ও আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোই সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
একদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অন্যদিকে পরিচালকের কড়া মন্তব্য—ফলে পথকুকুর ইস্যুতে নতুন করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমাজের একাংশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা বলছেন, আবার অন্য অংশ পথকুকুরদের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষার দাবি তুলছেন।
No comments:
Post a Comment