অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ করেন। একটি ছবিসহ দেওয়া পোস্টে ক্লার্ক লেখেন— “ত্বকের ক্যানসার অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ সমস্যা। আজ নাক থেকে ক্যানসারের একটি অংশ সরানো হলো।”
ক্লার্ক জানিয়েছেন, সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্যানসারের অংশ অপসারণ করা হয়েছে। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন— “প্রতিরোধই সবচেয়ে জরুরি। নিয়মিত চেক-আপ করলে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ ধরা সম্ভব।”
তিনি অতীতে একাধিকবার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর শরীরে। এরপর ২০১৯ সালে আবারও তিনটি নন-মেলানোমা শনাক্ত হয়। তারপর থেকেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভক্তদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
ত্বকের ক্যানসার কী?
চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের কোষে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শুরু হলে ত্বকের ক্যানসার দেখা দেয়। সাধারণত পুরনো কোষের জায়গায় নতুন কোষ তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
কোন উপসর্গে সতর্ক হবেন?
1. ত্বকে মোমের মতো সাদা মাংসপিণ্ড হঠাৎ বের হওয়া এবং সময়ের সঙ্গে বড় হতে থাকা।
2. বাদামি, কালো বা অস্বাভাবিক রঙের দাগ দেখা দেওয়া।
3. কোনও দাগ থেকে বারবার চুলকানি বা রক্তপাত হওয়া।
4. সারা শরীরে আঁচিলের মতো মাংসপিণ্ড গজানো।
ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাব্য কারণ
1. দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের তীব্র রোদে থাকা বা রোদে পোড়া ত্বক সঠিকভাবে না সারানো।
2. রাসায়নিক পদার্থের বারবার সংস্পর্শে আসা।
3. পরিবারে আগে কারও এই রোগ থাকলে পরবর্তীতে ঝুঁকি বাড়া।
4. ট্যানিং ল্যাম্প বা ট্যানিং বেড ব্যবহারে কোষের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
প্রতিরোধের উপায়
দুপুরের প্রখর রোদ এড়িয়ে চলা।
শুধু গরমকালে নয়, শীত-বর্ষাতেও বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
বাজারের প্রসাধনী বা চুল রঙ করার পণ্য ব্যবহারের আগে উপাদান যাচাই করা।
হঠাৎ দাগ বা অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
No comments:
Post a Comment