রবিবার গভীর রাতে মধ্যমগ্রামে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। মৃত যুবক সচ্চিদানন্দ মিশ্র (উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা) এর আগে একাধিকবার মধ্যমগ্রামে এসেছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এমনকি প্রেমিকার ভাড়া বাড়িতেও রাত কাটিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীদের মতে, সম্পর্কের টানেই তিনি বারবার এখানে আসতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে প্রেমিকার স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সচ্চিদানন্দ। তবে অসাবধানতাবশত ব্যাগে থাকা আইইডি ফেটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
সচ্চিদানন্দের পরিবার নাকি ছেলের প্রেম বা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা সম্বন্ধে কিছুই জানত না। বাবা অশ্বিনী কুমার মিশ্র জানান—
“রবিবার রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, বোমা বিস্ফোরণে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমরা বারাণসীতে ছিলাম, কিছুই জানতাম না। এমনকি ওর কোনও সম্পর্কের কথাও জানতাম না।”
তিনি আরও বলেন, ছেলে বিএ পাশ করার পর আইটিআই-তে পড়াশোনা করছিল। বোমা বানানো বা যন্ত্র তৈরিতে তার দক্ষতা ছিল বলে কোনওদিন শোনেননি।
অন্যদিকে, প্রেমিকার পরিবারও দাবি করছে, তারা মেয়ের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক সম্পর্কে কিছু জানতেন না। তবে বাড়ির মালিক গোবিন্দ চৌধুরী জানিয়েছেন—
“মেয়েটি সাত মাস ধরে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকত স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে। দু’মাস পর জানতে পারি তার বাইরের কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সেই ছেলেটি (সচ্চিদানন্দ) কয়েকবার বাড়িতে এসেছে এবং দু’বার রাতে থেকেও গিয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে পুলিশ ওই মহিলাকে বারবার জেরা করছে। তাঁর স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment