আজ ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি, যা হিন্দুধর্মে কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, এই দিনে দেবী কৌশিকী শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। দেবতাদের রক্ষার্থে দেবী পার্বতীর দেহকোষ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কৌশিকী। সেই থেকেই এই অমাবস্যা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে আসছে।
তন্ত্রশাস্ত্রে কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে বলা হয় “তারা রাত্রি”। বিশ্বাস রয়েছে, এই সময়ে কঠোর সাধনা করলে আশাতীত ফল লাভ করা যায়। তান্ত্রিক মতে, এই বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরকের দ্বার এক মুহূর্তের জন্য উন্মুক্ত হয়। তাই সাধক ও ভক্তদের কাছে এই তিথি এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।
ঐতিহাসিক কাহিনি অনুসারে, তারাপীঠের শ্বেত শিমূলতলায় মহান সাধক বামাক্ষ্যাপা কৌশিকী অমাবস্যার দিনেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। সেই থেকেই এই তিথির সঙ্গে তারাপীঠের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রতিবছর এই দিনে তারাপীঠে হাজার হাজার ভক্ত ও সাধক সমবেত হন, রাতভর চলে পূজা, হোম, আরতি ও বিশেষ তন্ত্রসাধনা।
আজও পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন শক্তিপীঠ ও কালীমন্দিরে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। লাল ফুল, প্রদীপ ও প্রসাদ নিবেদন করে ভক্তরা দেবীর কৃপালাভের প্রার্থনা করছেন। বিশ্বাস করা হয়, কৌশিকী অমাবস্যায় দেবীকে ভক্তিভরে পূজা করলে জীবনের অন্ধকার দূর হয়, শত্রু দমন হয় এবং মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
No comments:
Post a Comment