নদিয়ার কল্যাণী মহকুমা আদালত এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে সাত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কঠিন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আর এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ২০২৪-এ। অভিযোগ অনুযায়ী, কল্যাণী থানার অন্তর্গত কল্যাণী-বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলব্রিজের নিচে এক বিবাহিতা তরুণীকে আটজন মিলে গণধর্ষণ করে। পরে নির্যাতিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে এবং গণধর্ষণের মামলা রুজু করে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক টিম প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে।
সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, এই মামলায় মোট ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রধান সাক্ষী ছিলেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী। প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অবশেষে সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার গণধর্ষণ-সংক্রান্ত ধারায় তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও ২ থেকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ধার্য রয়েছে।
তবে অভিযুক্তদের মধ্যে কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা রাহুল রায় ওরফে অমিতকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা এবং তাঁর পরিবার। মাত্র দশ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় এটি রাজ্যের বিচারব্যবস্থার দ্রুত পদক্ষেপের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment