ভারতীয় রেল: নদীর জলে চলবে ট্রেন, ভারতীয় রেলের এক অনন্য প্রচেষ্টা - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, August 7, 2025

ভারতীয় রেল: নদীর জলে চলবে ট্রেন, ভারতীয় রেলের এক অনন্য প্রচেষ্টা


 পরিবেশ সুরক্ষা এবং নেট শূন্য কার্বন নির্গমনের দিকে ভারতীয় রেল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আওতায়, উত্তর রেলওয়ে ৪০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কেনার জন্য THDC ইন্ডিয়া লিমিটেডের সাথে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি ঋষিকেশে সম্পাদিত হয়েছিল। এর আওতায় নদীর জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যা ট্রেন চালাবে। উত্তর রেলওয়ের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী আশীষ মেহরোত্রা এবং THDCIL-এর অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আর.কে. ভার্মা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই পদক্ষেপ রেলওয়ের সবুজ শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াকে শক্তিশালী করে এবং পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।


এই চুক্তি ভারত সরকারের সেই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে যা প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত COP26 সম্মেলনে "পঞ্চামৃত" উদ্যোগের অধীনে ঘোষণা করেছিলেন। এই উদ্যোগে, কার্বন নির্গমন হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করা হবে। উত্তর রেলওয়ে ইতিমধ্যেই ৬২১ মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যুক্ত।

এখন THDC-এর সাথে এই নতুন চুক্তি সবুজ শক্তি সরবরাহ বৃদ্ধি করবে, যা রেলওয়েকে সস্তা এবং টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এর ফলে রেলওয়েদের কার্বনমুক্তকরণ অর্থাৎ কার্বনমুক্ত পরিবহনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। এই ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অরুণাচল প্রদেশে নির্মিত কালাই-II জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (১২০০ মেগাওয়াট) থেকে আসবে। এই প্রকল্পটি নদীর জল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা একটি দূষণমুক্ত এবং সবুজ শক্তির উৎস। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, রেলওয়ে তাদের কার্যক্রমে কয়লা এবং ডিজেলের মতো দূষণকারী জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সক্ষম হবে।


এটি কেবল পরিবেশ পরিষ্কার করবে না বরং জ্বালানি খরচও কমাবে, যা রেল যাত্রীদের জন্য উপকারী হবে। উত্তর রেলওয়ের এই পদক্ষেপ রেলওয়েকে দেশের বৃহত্তম সবুজ পরিবহন নেটওয়ার্কে পরিণত করবে। এই উদ্যোগ কেবল পরিবেশ রক্ষা করবে না বরং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি করবে, কারণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক লোক চাকরি পাবে।

রেলওয়ে কর্মকর্তার মতে, আগামী সময়ে আরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস গ্রহণ করা হবে যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বনের লক্ষ্য অর্জন করা যায়। এই চুক্তি কেবল রেলওয়ের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad