ভোটের আবহে বাংলায় পৌঁছে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একজন সরকারি কর্মী যদি ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তাহলে নেতা-মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও কেন একই নিয়ম হবে না?” এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনা টেনে আনেন। বলেন, “এক নেতা বাড়ি থেকে অগুনতি টাকা উদ্ধার হলেও পদ ছাড়তে চাননি।”
এর আগে বিহারের সভাতেও সংবিধান সংশোধনী বিলের উল্লেখ করেছিলেন মোদি। এবার বাংলায় দাঁড়িয়েও তিনি জানান, নতুন আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী—সবাই থাকবেন। জেল থেকে প্রশাসন চালানোর বিষয় নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন। যদিও নাম না করে তাঁর ইঙ্গিত ছিল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে।
তবে মোদির এই বক্তব্যকে খণ্ডন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। সরকারি কর্মীর চাকরি যায় না, বরং তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।”
অন্যদিকে, ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তা ও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ নিয়েও বিতর্ক ছড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বাঙালি বনাম বাংলাদেশি প্রশ্নে চুপ থাকতে দেখা গেলেও, তিনি বলেছেন, “অনুপ্রবেশকারীদের হটানো হবে। ভোটে সমর্থন দিন, ওরা নিজেরাই পালিয়ে যাবে।”
তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবারও কড়া প্রতিক্রিয়া আসে। শশী পাঁজা জানান, “প্রধানমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে একটি শব্দও বললেন না। অথচ বাংলার ভাষাকে কেন্দ্রীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি করছেন। কিন্তু তাঁরই দলের নেতারা বাংলা ভাষাকে বিদেশি ভাষা বলে মন্তব্য করছেন।”
No comments:
Post a Comment