আলাস্কায় মুখোমুখি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের পথ খোঁজা। বৈঠকের সূচনা মুহূর্তেই এক বিশেষ ঘটনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের লেখা একটি চিঠি পুতিনের হাতে তুলে দেন।
মেলানিয়ার ‘শান্তি পত্র’
মেলানিয়া ট্রাম্পের লেখা এই আবেগঘন চিঠি প্রথম প্রকাশ করে ফক্স নিউজ ডিজিটাল। সভার মাঝেই পুতিন চিঠিটি পড়েন এবং উপস্থিত প্রতিনিধিদল দৃশ্যটির সাক্ষী হয়।
চিঠিতে মেলানিয়া লেখেন—
“প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে একই স্বপ্ন থাকে—ভালোবাসা, সম্ভাবনা ও নিরাপত্তার। তারা যেখানে জন্মাক না কেন, বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকার অধিকার তাদের রয়েছে।”
তিনি আরও লেখেন, নেতাদের দায়িত্ব হলো আগামী প্রজন্মের আশা বাঁচিয়ে রাখা—
“আমাদের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে যেখানে প্রতিটি আত্মা শান্তিতে বাস করতে পারবে এবং ভবিষ্যৎ হবে নিরাপদ।”
মেলানিয়া শিশুদের নির্দোষতা ও হাসি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে পুতিনকে উদ্দেশ করে লেখেন—
“আপনি যদি এই শিশুদের হাসি ফিরিয়ে দেন, তবে কেবল রাশিয়া নয়, পুরো মানবতার সেবা করবেন। কলমের এক খোঁচায় আপনি ইতিহাস বদলে দিতে পারেন। সময় এসেছে।”
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এই চিঠিকে “আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে শান্তির আবেদন” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,
“এই চিঠি এমন এক পৃথিবীর দাবি করে যেখানে প্রতিটি শিশু, জন্মভূমি যাই হোক না কেন, শান্তিতে বাস করতে পারবে।”
বৈঠকের ফলাফল বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনাকে “অত্যন্ত ফলপ্রসূ” বলে বর্ণনা করেন। তবে তিনি স্পষ্ট জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ।
“আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি, কিন্তু লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাইনি,” মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর
এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার ওয়াশিংটন সফরে আসছেন। তাঁর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধের অবসান নিয়ে আরও নতুন বিকল্প আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment