দেশজুড়ে তেরঙ্গা উড়ছে, প্রতিটি কোণে দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হচ্ছে, এবং ইতিমধ্যে, ভারত এমন একটি বার্তা পেয়েছে যা এই বিশেষ দিনে আরও উজ্জ্বলতা যোগ করেছে। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, সুদূর রাশিয়া থেকে একটি উষ্ণ বার্তা এসেছে, তাও রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে।
ভারতের জন্য পুতিনের প্রেমময় বার্তা
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন যে ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে যে সম্মান পাচ্ছে তার সম্পূর্ণ প্রাপ্য। ভারতে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস 'এক্স' সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পুতিনের বার্তা শেয়ার করেছে। তিনি বলেছেন, "ভারত আর্থ-সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে।" পুতিন আরও যোগ করেছেন যে ভারত কেবল তার দেশে অগ্রগতির উদাহরণ স্থাপন করছে না, বরং বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তার কথায় প্রতিফলিত শ্রদ্ধা এবং বন্ধুত্ব দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার কথা বলে।
রাশিয়া-ভারত সম্পর্কের সোনালী যাত্রা
পুতিন তার বার্তায় রাশিয়া এবং ভারতের সম্পর্ককে "বিশেষ এবং গৌরবময় কৌশলগত অংশীদারিত্ব" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে রাশিয়া এই সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং বিশ্বাস করে যে আগামী সময়ে এই অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, জ্বালানি বা প্রতিরক্ষা যাই হোক না কেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুতিন বিশ্বাস করেন যে এই সম্পর্ক কেবল সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং উভয় দেশের জনগণের আগ্রহ এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এই কারণেই যখনই আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক নিরাপত্তার কথা আসে, তখনই রাশিয়া এবং ভারতকে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বন্ধুত্বের বাইরেও কৌশলগত শক্তি
রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব কয়েক দশকের পুরনো। শীতল যুদ্ধের সময় থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত, উভয় দেশ একে অপরকে সমর্থন করেছে। প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে শুরু করে মহাকাশ অভিযান, এবং তেল-গ্যাস সহযোগিতা থেকে শুরু করে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিনিময় পর্যন্ত, এই সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে আরও গভীর হয়েছে। পুতিনের এই বার্তা কেবল একটি আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য আস্থার গ্যারান্টিও। এটি বলে যে উভয় দেশ একসাথে কেবল তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে না, বরং সমগ্র বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অবদান রাখবে।
ত্রিবর্ণের সাথে বন্ধুত্বের পতাকা
৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রতি পুতিনের এই বিশেষ বার্তা এই দিনটিকে আরও ঐতিহাসিক করে তোলে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা কেবল অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রতীক নয়, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বন্ধুত্ব এবং শ্রদ্ধার ভিত্তিও। আজ, ত্রিবর্ণের গর্বের পাশাপাশি, ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের পতাকাও একই উচ্চতায় উড়ছে।
No comments:
Post a Comment