বিহারে ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ থেকে বড় ঘোষণা করলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। জনতার উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য— “আমাদের মহাজোটকে সরকারে আনুন, আমরা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করব।” এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
এবারই প্রথম কংগ্রেসের বাইরে অন্য কোনও বিরোধী দলের নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানালেন। এতদিন শুধুমাত্র কংগ্রেসই রাহুলকে সামনে রেখেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তেজস্বীর এই মন্তব্য শুধু বিহারের ভোট নয়, জাতীয় পর্যায়েও বিরোধী জোটের সমীকরণকে নাড়া দিয়েছে।
তবে ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকদল জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করার সময় এখনও আসেনি। রাহুল গান্ধীও এ নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর কথায়, এখন তাঁদের প্রধান লক্ষ্য ভোট কারচুপি ঠেকানো ও গণতন্ত্র রক্ষা করা। কংগ্রেসের অবস্থানও স্পষ্ট— ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরই ঠিক হবে কে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন।
প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেকে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন তেজস্বী। তাঁর পাশে রয়েছেন বাম দল এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রধান মুকেশ সাহানিও। কিন্তু কংগ্রেস এখনও এ নিয়ে নিশ্চুপ। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের সমর্থন নিশ্চিত করতে তেজস্বী রাহুলের নাম সামনে এনেছেন।
অক্টোবর-নভেম্বরে বিহার বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগেই বিরোধী জোটে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— তেজস্বী রাহুলের নাম ভাসালেও বিরোধী শিবিরের বাকিরা কতটা এতে একমত হবেন। কারণ ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ধারাবাহিক ব্যর্থতাকে সামনে রেখে বিরোধী শিবিরের একাংশ এর আগে আপত্তি জানিয়েছিল। বিকল্প হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মল্লিকার্জুন খাড়গে কিংবা নীতীশ কুমারের নামও উঠে এসেছিল।
সব মিলিয়ে, তেজস্বীর এই বক্তব্যে শুধু বিহারের রাজনীতি নয়, বিরোধী শিবিরের ভেতরকার টানাপোড়েনই এখন জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রে।
No comments:
Post a Comment