প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০০:০১ : অনেক সময় এমন হয় যে ঘরে একের পর এক রোগ আসতে থাকে। কারও জ্বর হয়, কারও দুর্বলতা থাকে অথবা কোনও পুরনো রোগ বারবার বিরক্ত করতে থাকে। এমন পরিস্থিতি কেবল শারীরিক সমস্যাই দেয় না, মানসিকভাবেও ভেঙে দেয়। ডাক্তার দেখানো এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি রোগটি ঘর থেকে দূরে না যায়, তাহলে কী হচ্ছে তা নিয়ে মনের মধ্যে ভয় জাগতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই নেতিবাচকতা দূর করতে এবং ঘরে শান্তি বজায় রাখতে বিভিন্ন সমাধান খোঁজেন। আজ জানুন একটি খুব সহজ এবং কার্যকর সমাধানের কথা, যা করে আপনি পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক জ্যোতিষী অংশুল ত্রিপাঠীর কাছ থেকে।
যদি ঘরে কেউ ক্রমাগত অসুস্থ থাকে বা ঘরে নেতিবাচকতার পরিবেশ থাকে, তাহলে এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়। এর জন্য আপনার একটি আটার পেড়া এবং পরিষ্কার জলে ভরা একটি তামার পাত্র প্রয়োজন।
১. প্রথমে একটি আটার পেড়া প্রস্তুত করুন। এটি একটু বড় হওয়া উচিত, প্রায় একটি তামার গাছের আকারের।
২. এবার একটি তামার পাত্র পরিষ্কার জলে ভরে নিন।
৩. যদি কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হন বা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে এই পেড়াটি ঘুরিয়ে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ২১ বার তার মাথার উপর জল দিন। মনে রাখবেন যে এই প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করা উচিত।
৪. এটি করার পরে, বাইরে গিয়ে একটি গরুকে পেড়া খাওয়ান।
৫. গাছের গোড়ায় অবশিষ্ট জল ঢেলে দিন।
এই প্রতিকারটি কত দিন করা উচিত?
এই প্রতিকারটি ৩ দিন ধরে একটানা করা উচিত। তিন দিন পর, এটি নিয়মিতভাবে ৩ সপ্তাহ করা প্রয়োজন। অর্থাৎ, এই প্রক্রিয়াটি প্রতি সপ্তাহে তিন দিন পুনরাবৃত্তি করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রতিকারটি করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং রোগ দ্রুত নিরাময় হতে শুরু করে।
ভারতীয় ঐতিহ্যে, গরুকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। গরুকে খাওয়ালে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায় এবং অনেক সমস্যার সমাধান হয়। আটার পেড়া এবং জল অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে নেতিবাচক প্রভাব বের করে দেয়। যখন এটি গরুকে খাওয়ানো হয় এবং গাছে জল ঢালা হয়, তখন এই নেতিবাচকতা শেষ হয়ে যায়।
কী মনে রাখবেন?
১. সকালে বা সন্ধ্যায় এই প্রতিকার করা সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।
২. এই প্রক্রিয়াটি করার সময়, আপনার মন সম্পূর্ণ শান্ত থাকা উচিত।
৩. গরুকে সর্বদা পরিষ্কার এবং তাজা পেড়া খাওয়ান।
৪. গাছে জল ঢালার সময়, মনে রাখবেন যে গাছটি সবুজ এবং স্বাস্থ্যকর।
No comments:
Post a Comment