প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪৫:০২ : বাংলাদেশের ৩টি নদীতে একটানা মৃতদেহ পাওয়ার খবর আসছে। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে যে তারা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং মেঘনা নদী থেকে ৭৫০টি মৃতদেহ বের করেছে। এমন অনেক মৃতদেহ আছে যার সম্পর্কে পুলিশের কাছেও কোনও তথ্য নেই।
নদীতে একটানা মৃতদেহ পাওয়া প্রশাসনের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার ও প্রশাসন জানিয়েছে যে তারা মৃতদেহ শনাক্তকরণ এবং তদন্ত শুরু করবে। পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন যে এমন অনেক মৃতদেহ আছে যাদের শনাক্ত করা কঠিন।
বাংলাদেশের মজমিন পত্রিকা এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছে। সংবাদপত্রের মতে, পুলিশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা বেশিরভাগ মৃতদেহ ব্যাগে করে ফেলে দিয়েছে। কিছু মৃতদেহ গলায় ইট-পাথর বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কিছু মৃতদেহ শনাক্ত করেছে, আবার কিছু মৃতদেহ শনাক্ত না করেই কবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে যে এগুলো সবই নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃতদেহ। কখন তারা নিখোঁজ হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় কেরানীগঞ্জ পুলিশের মতে, প্রতিদিন ২-৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই সংখ্যা ছিল ৫ জনেরও বেশি।
নদী থেকে ক্রমাগত মৃতদেহ বের হওয়া নিয়ে ঢাকায় ২টি তত্ত্ব চলছে। জানুন ২টি তত্ত্ব বিস্তারিতভাবে
১. পুলিশ বলে যে গুন্ডা এবং অপরাধীরা মানুষকে অপহরণ করে হত্যা করছে। তারা তাদের লাশ লুকানোর জন্য নদীতে ফেলে দিচ্ছে। যখন লাশ ফুলে ওঠে এবং বেরিয়ে আসে, তখন পুলিশ এর একটি সূত্র পায়। সিজিএসের মতে, বাংলাদেশে প্রতি মাসে প্রায় ৮৭ জনকে অপহরণ করা হচ্ছে। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ সরকার অপহরণ এবং পরবর্তী খুন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাও এটি মেনে নিয়েছেন।
২. একটি তত্ত্ব হল শেখ হাসিনার শাসনামলে বেশিরভাগ মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মানবাধিকার অনুসারে, হাসিনা সরকারের আমলে প্রায় ৭০০ জন নিখোঁজ হয়েছিল। ইউনূসের সরকার এখনও এই মানুষদের কোথায় এবং কীভাবে খুন করা হয়েছিল তা খুঁজে বের করতে পারেনি।
একই সাথে, পুলিশ আধিকারিকরা যেভাবে মামলাটিকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন, তাতে এই প্রশ্নটি আরও প্রাধান্য পাচ্ছে। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় ছিল।
No comments:
Post a Comment