শ্বশুর-শাশুড়ির অনিচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপেই ভেঙে পড়ে দাম্পত্য জীবন, বিশেষজ্ঞ জানালেন ৩টি বড় কারণ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, August 22, 2025

শ্বশুর-শাশুড়ির অনিচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপেই ভেঙে পড়ে দাম্পত্য জীবন, বিশেষজ্ঞ জানালেন ৩টি বড় কারণ



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ আগস্ট ২০২৫, ১১:০০:০১ : বিয়ের পর প্রতিটি দম্পতির জীবনেই অনেক পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে মেয়েদের নতুন বাড়ি, নতুন পরিবেশ ও নতুন মানুষের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হয়। এই অ্যাডজাস্টমেন্টের সময় অনেক সময় ছোটখাটো মনোমালিন্য তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে সমস্যা তখনই বড় আকার নেয়, যখন সেই দ্বন্দ্ব সরাসরি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়েনে অনেক সময় অজান্তেই শ্বশুর শাশুড়ি জড়িয়ে পড়েন। এখানে বিষয়টি ইচ্ছে করে হস্তক্ষেপ করার নয়, বরং না চাইলেও তাদের আচরণ বা প্রত্যাশা অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্যারেন্টিং কোচ শ্বেতা গান্ধী এমন কয়েকটি সাধারণ কারণের কথা জানিয়েছেন, যেগুলি অনিচ্ছাকৃতভাবে সন্তানদের দাম্পত্যজীবনে অশান্তি ডেকে আনে।

স্বামী যখন বাবা-মার প্রতি অতিরিক্ত অনুগত হন

শ্বেতা বলেন, সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন স্বামী তার দাম্পত্য সম্পর্কের চেয়ে বাবা-মাকে বেশি প্রাধান্য দেন। বাবা-মার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর প্রতি একে অপরেরও কিছু দায়িত্ব তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, স্বামী বাবা-মা ও স্ত্রীর মধ্যে আটকে যান, কাকে সমর্থন করবেন বুঝতে পারেন না। এই দ্বিধাই সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়ায়।

অনেক সময় দাম্পত্য জীবনের অশান্তির বড় কারণ হয় স্পষ্ট বাউন্ডারি না থাকা। যখন ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত দখলদারি হয় বা স্বামী-স্ত্রীর জন্য আলাদা স্পেস থাকে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই ঝামেলা শুরু হয়। বিশেষ করে নতুন বউয়ের জন্য এটা বেশি কষ্টকর হয়। প্রত্যেকেরই নিজস্বভাবে জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকে, আর অকারণ হস্তক্ষেপ কেউই সহজে মেনে নিতে পারে না।

যদি স্বামী তার স্ত্রীর প্রয়োজন ও অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেন, তাহলে সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে। এখন আর আগের মতো শুধু এক পক্ষকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে না—উভয়কেই একে অপরকে প্রাধান্য দিতে হবে। শ্বেতা বলেন, বিবাহ মানে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পারস্পরিক অঙ্গীকার। পরিবারকেও বুঝতে হবে যে এখন দম্পতির প্রথম দায়িত্ব একে অপরের প্রতি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad