প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০০:০২ : শিবপুরাণে শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবের মাহাত্ম্য অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়, যাঁরা জীবনে খারাপ অভ্যাসে আটকে যান, মদ্যপান বা অন্য কোনো আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারেন না কিংবা পরিবারে অশান্তি, অসুস্থতা ও কলহ চলতেই থাকে—তাঁদের জন্য শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবকে স্মরণ করা বিশেষভাবে ফলপ্রদ। ভোলেনাথ নামেই তিনি পরিচিত, কারণ ভক্তদের আহ্বান তিনি দ্রুতই শুনে নেন। ভোপালের জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন।
শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবের কাহিনি
শিবপুরাণে উল্লেখ আছে যখন ভগবান নৃসিংহের অগ্নিক্রোধে সমগ্র দেবলোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, তখন ভগবান শিব শর পাখির রূপ ধারণ করে তাঁকে শান্ত করেছিলেন। অলকানন্দা নদীর তীরে নখর ধরে নৃসিংহকে স্থির করেন তিনি। সেই থেকেই শিবের নামকরণ হয় ‘শ্রম্ভেশ্বর মহাদেব’। বিশ্বাস করা হয়, এই নাম জপ করলে শুধু ভয় ও দুঃখ দূর হয় না, বরং জীবনে ইতিবাচক শক্তি ফিরে আসে।
মদ্যপান ও খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তির টোটকা
যদি পরিবারের কেউ দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান বা অন্য আসক্তিতে জড়িয়ে থাকেন, তবে শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবের পূজা আশ্চর্য ফল দিতে পারে।
পদ্ধতি:
পাঁচটি বেলপাতা, তিনটি শমীপাতা এবং পাঁচটি কালো গোলমরিচ শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন।
পূজার পর বেলপাতা ও গোলমরিচ সংগ্রহ করে আনুন।
পরবর্তী ১৫-২০ দিন ওই বেলপাতা সকালে এবং গোলমরিচ সন্ধ্যায় খাবারের সঙ্গে আসক্ত ব্যক্তিকে দিন।
বিশ্বাস করা হয়, এভাবে করলে ধীরে ধীরে আসক্তি দূর হতে শুরু করে।
গুরুতর রোগ থেকে মুক্তির উপায়
শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবের নাম শুধুমাত্র আসক্তি নয়, রোগ নিরাময়েও আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলে। বলা হয়, যদি কেউ কোমায় থাকেন বা চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন, তবে ভোলেনাথকে স্মরণ করলে অলৌকিক পরিবর্তন দেখা যায়।
পদ্ধতি:
শিবলিঙ্গে অশোকসুন্দরী, গণেশজি ও কার্তিকেয়জির নামে চাল অর্পণ করুন।
শিবলিঙ্গকে জল দিয়ে স্নান করিয়ে সেই জল অসুস্থকে পান করান অথবা শরীরে প্রয়োগ করুন।
বিশ্বাস করা হয়, এর ফলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে।
পারিবারিক কলহ থেকে মুক্তি
ঘরে ক্রমাগত ঝগড়া, মামলা বা সম্পর্কে তিক্ততা চলতে থাকলে প্রতিদিন শিবলিঙ্গে এক লট জল নিবেদন করে শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবের নাম জপ করা উচিত। এতে পরিবারের পরিবেশ শান্ত হয় এবং ভালোবাসা বাড়তে শুরু করে।
তাই খারাপ অভ্যাস, রোগ বা পারিবারিক অশান্তিতে ভুগলে ভোলেনাথের এই রূপ শ্রম্ভেশ্বর মহাদেবকে স্মরণ করুন। বিশ্বাস করা হয়, আন্তরিক ভক্তি থাকলেই জীবনে সুখ ও শান্তি ফিরে আসবে।
No comments:
Post a Comment