প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩০:০১ : মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এমআইজি থানা এলাকার এক পাড়ায় হঠাৎই নেমে এলো মৃত্যু ও বিষাদের ঘনঘটা। ১২ বছরের এক নিষ্পাপ শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার হলো তার নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়।
সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ব্যাপার হল, ৩০ জুলাই ছিল ওই শিশুটির জন্মদিন। গোটা পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনেরা মেতে উঠেছিলেন জন্মদিনের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্যাপনে। কেক কাটা, আলো ঝলমলে সাজসজ্জা, গানে-আনন্দে যখন ঘর ভরে উঠেছিল, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এই আনন্দই পরিণত হবে চিরকালের বিষাদে।
পরিবার প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে শিশুটির ঘর থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই যা দেখা গেল, তাতে পাথরের মতো স্থির হয়ে যান সকলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে, এরপর মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারকে।
পরিবার জানিয়েছে যে অকালঙ্ক জৈন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে তার মায়ের মোবাইলে অনলাইন গেম খেলত। ৩১ জুলাই সে বাড়িতে বসে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিল। এই সময়, গেমটি খেলতে খেলতে তার মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০০০ টাকা কেটে নেওয়ার পর, অকালঙ্ক তার ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কয়েক ঘন্টা ধরে দরজা না খোলায় পরিবার দরজা ভেঙে দেখে যে ১২ বছরের নিষ্পাপ শিশুটি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
এর আগেও মধ্যপ্রদেশে অনেক অনলাইন গেমের কারণে শিশুরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারও অনেক অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করেছিল। অনেক অনলাইন গেমের কারণে, অনেক শিশু এখনও গোপনে এটিএম বা কখনও কখনও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সেই কাজগুলি সম্পন্ন করে এবং টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, তারা তাদের বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা না করেই এই ধরণের বিপজ্জনক পদক্ষেপ নেয়।
অকালঙ্কের বাবার একটি মোবাইল ব্যবসা রয়েছে। তার বাবা বলেছেন যে সরকারের উচিত কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যাতে প্লে স্টোর বা অন্য কোনও জায়গা থেকে মোবাইলে অনলাইন গেম ডাউনলোড না হয়।
No comments:
Post a Comment