প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ আগস্ট ২০২৫, ২১:২৬:০১ : সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩ সালে রাজ্যে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এটিই হবে তাঁর প্রথম সফর। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইম্ফল এবং চুরাচাঁদপুর জেলায় যাবেন এবং সেখানে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সাথে দেখা করবেন। তাঁর সফরকালে তিনি বেশ কয়েকটি নতুন অবকাঠামো প্রকল্প ঘোষণা করবেন এবং কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। এই সফরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে শান্তি বজায় রাখার জন্য পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।
সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে সহিংসতায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০,০০০ এরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে বসবাস করছেন। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল, যা আগস্টে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাসনের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ লুট হওয়া হাজার হাজার অস্ত্রের মধ্যে প্রায় ৩,০০০ অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
মেইতিই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবীর প্রতিবাদে এই সহিংসতা শুরু হয়। কুকি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের পর মণিপুরে সহিংসতা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মণিপুর সফর করেন। শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও, সেখানে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত সহিংসতা চলতে থাকে।
একই সময়ে, ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। দলের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে কোনও ঐক্যমত্য না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিংকে পদত্যাগ করতে হয়। ২১ মাস সহিংসতার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কংগ্রেসও এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে নিশানা করে। কংগ্রেস বলেছে যে এই সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে যে এটি গণতান্ত্রিক নীতির লঙ্ঘন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবী, মণিপুরে সহিংসতা কমেছে এবং শান্তির জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment