শুল্ক যুদ্ধের মাঝেই ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর! আগামী মাসেই যেতে পারেন আমেরিকা সফরে - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, August 13, 2025

শুল্ক যুদ্ধের মাঝেই ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর! আগামী মাসেই যেতে পারেন আমেরিকা সফরে


ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ আগস্ট ২০২৫: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে। এই মঞ্চে, বিশ্বের শীর্ষ নেতারা আবারও আন্তর্জাতিক এজেন্ডা নির্ধারণ করবেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার আমেরিকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে পারেন। এই বৈঠক কেবল ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে না বরং বাণিজ্য, শুল্ক ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলিতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।


যদি এই বৈঠক হয়, তাহলে এটি হবে ৭ মাসের মধ্যে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত উষ্ণতা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে, শুল্ক এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর বক্তব্য এই সম্পর্কে উত্তেজনা এনেছে।


ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছে, কিন্তু কৃষি ও দুগ্ধ খাতের বিষয়ে ভারতের অনীহা এই চুক্তিতে একটি বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। এই অচলাবস্থার মধ্যে, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং রাশিয়ান তেল ক্রয়ের কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শুল্কের অর্ধেক ইতিমধ্যেই ৭ আগস্ট কার্যকর করা হয়েছে, বাকিগুলি ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হবে। এই সময়সীমার আগে, উভয় দেশ একটি উচ্চ-স্তরের বৈঠকে অংশ নিচ্ছে যাতে কোনও ধরণের চুক্তিতে পৌঁছানো যায়। এই বিষয়টি কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমেরিকার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং ভারতের বৈশ্বিক বাণিজ্য স্বার্থের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।


ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল ক্রয় অব্যাহত থাকা আমেরিকার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। হোয়াইট হাউস বিশ্বাস করে যে, এই রাজস্ব মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এই বিষয়ে ভারতের সমালোচনা করেছেন এবং আমদানি কমাতে চাপ বাড়িয়েছেন; আশা করছেন যে, অর্থনৈতিক চাপ রাশিয়াকে যুদ্ধ শেষ করতে বাধ্য করবে। ভারত এর প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকাকে ভণ্ড বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি নিজেরাই রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম, রাসায়নিক এবং সার কিনছে। এই বিবৃতি কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।


ওদিকে, ১৫ আগস্ট ট্রাম্প এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের দিকে ভারত গভীর নজর রাখছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের জন্য, এটি কেবল একটি ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা নয় বরং তার জ্বালানি ও বাণিজ্য স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কূটনৈতিক কৌশল নির্ধারণের একটি সুযোগও।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad