প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২১:০২:০১ : বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর থেকে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৭১ সাল থেকে পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী করে আসা বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাসীদের মদদদানকারী একটি দেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তান তার জনগণের খাবারের জন্য ঘরে ঘরে ভিক্ষা করছে, তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং বৃত্তি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শিক্ষা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য দুই দেশই পাকিস্তান-বাংলাদেশ জ্ঞান করিডোর শুরু করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য দিয়েছে। পোস্ট অনুসারে, আগামী পাঁচ বছরে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশি প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ৬টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়, বিনামূল্যে ভিসা প্রবেশ এবং দুই দেশের বৈদেশিক পরিষেবার জন্য প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি।
ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের আগে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আবারও উত্থাপিত হয়েছিল। তবে, এই বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কারণে হাজার হাজার বাংলাদেশী নিহত হয়েছিল। ঢাকার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেন বলেছেন যে এই বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে তবে দুই দেশ সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
তৌহিদ হুসেন বলেছেন, "আমাদের সম্পর্কের পথে যে কোনও সমস্যাই আসুক না কেন, তার সমাধান করতে হবে।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে যা কিছু ঘটছে তার উপর কড়া নজর রাখছে। প্রকৃতপক্ষে, যখন বাংলাদেশে একটি অভ্যুত্থান ঘটে, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। মৌলবাদীরা বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে ভারতের সাথে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।
No comments:
Post a Comment