ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ আগস্ট ২০২৫: বিহারে নির্বাচনী পরিবেশ বর্তমানে তুঙ্গে। জয়ের চেষ্টায় সব রাজনৈতিক দলই তাদের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করছে। এই আবহেই, জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর দাবী করেছেন যে, ২০১৫ সালে যদি তাঁর সহমত না থাকত, তাহলে তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। প্রশান্ত কিশোর বলেন যে, ২০১৫ সালে যখন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়, তখন তিনি যাদের বিরোধিতা করেছিলেন তারা মন্ত্রী হতে পারতেন না। সেই সময় তিনিই সিদ্ধান্ত নিতেন।
মন্ত্রী হওয়ার কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই
ইন্ডিয়া টুডের একটি খবর অনুসারে, তিনি বলেন যে, যদি তাঁকে মন্ত্রী হতে হত, তাহলে তিনি সেই সময়েই সরকারে যোগ দিতেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য বিধায়ক বা মন্ত্রী হওয়া নয় বরং বিহারে সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, "আমার লক্ষ্য বিহারে আমূল সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা। আমি বিধায়ক বা মন্ত্রী হতে আসিনি। যদি তাই হত, তাহলে আমরা ২০১৫ সালের নির্বাচনে জিততাম, যদি আমার সহমত না থাকত তাহলে তেজস্বী যাদবও উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতেন না, লালু যাদবজিকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।"
তিনি দাবী করেন, ২০১৫ সালে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল, 'আমরা যাদের নামগুলির বিরোধিতা করেছিলাম, তাঁরা মন্ত্রী হতে পারেনি। আমরাই সেই সময় সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম।'
তেজস্বী এবং নীতিশের ওপর আক্রমণ
প্রশান্ত কিশোর বলেন যে, যেদিন তেজস্বী যাদবকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল, সেদিন থেকেই নীতিশ কুমার তাঁর মধ্যে বিকাশ পুরুষ দেখতে শুরু করেছিলেন। মদ নিষিদ্ধকরণ এবং অন্যান্য বিষয়গুলি অদৃশ্য হয়ে যায় এবং বিহার তাঁর কাছে "স্কটল্যান্ড" বলে মনে হতে শুরু করে। তেজস্বীকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হল একজন বিধায়ক এবং মন্ত্রী হওয়া।'
প্রশান্ত কিশোরের বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি-
মুজফফরপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় জনসূরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, যদি তাঁর সরকার গঠিত হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের মাসিক ২০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে। এছাড়াও, সরকার বেসরকারি স্কুলে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পড়ানোর ফি প্রদান করবে, যাতে দরিদ্র শিশুরাও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তে পারে।
বিহারে যুবদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প-
প্রশান্ত কিশোর আরও ঘোষণা করেন, বিহারের ৫০ লক্ষ যুবকে ফেরত ডেকে রাজ্যেই ১০-১২ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কর্মসংস্থান দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই বছর হবে বিহারের দুর্দশার শেষ দীপাবলি ও ছট এবং যুবদের বাইরে চাকরির জন্য বাড়ি ও পরিবার ছেড়ে যেতে হবে না।
No comments:
Post a Comment