কলকাতা, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৯:০১ : বর্তমানে রাজ্যে ‘ব্রেক মনসুন’-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি, তবে আগের মতো একটানা আর হচ্ছে না। মৌসুমী অক্ষরেখা এখন হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান করছে। এর পাশাপাশি উত্তর বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং আসামের উপরে একটি উচ্চপর্যায়ের বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় রয়েছে। এই সম্মিলিত প্রভাবেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে চলবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে রবিবার পর্যন্ত চলবে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার থেকে মালদাও এই তালিকায় যুক্ত হবে। বিশেষ করে সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে, প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকা। পাহাড়ি অঞ্চলে ধস নামার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
দক্ষিণবঙ্গেও মাঝেমধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানেও হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
শহরের আকাশ মেঘলা থাকবে। দিনভর কয়েক দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বজ্রপাত-সহ। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি। আর্দ্রতার পরিমাণ ৮১%-৯৬%। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৭.৬ মিমি।
বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে শুক্রবার একটি নতুন ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে, যার প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গেও। এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ কেরালার কাছাকাছি আরও দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যা আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে।
বিহার, সিকিম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে ভারী বৃষ্টি। বিশেষত বিহারে বুধবার ও বৃহস্পতিবার অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নদীগুলোর জলস্তর বাড়তে পারে, নিচু এলাকায় জল জমে থাকতে পারে, পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোর।
No comments:
Post a Comment