হাড় ও জোড়ার ব্যথা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন দেখা দেয়, তেমনই অনেক সময় অল্প বয়সেও এই সমস্যা দেখা দেয়। কাজের চাপ, জীবনযাত্রার অসঙ্গতি, ব্যায়ামের অভাব কিংবা আঘাতের কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং জোড়ায় ব্যথা শুরু হয়। এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে দৈনন্দিন জীবনে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যায় এবং হাড়কে শক্তিশালী রাখা সম্ভব।
হলুদ ও দুধের উপকারিতা
হলুদে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান কারকিউমিন। এটি জোড়ার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে শরীর উষ্ণ থাকে এবং ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।
আদার কার্যকারিতা
আদা শুধু হজমে নয়, ব্যথা কমাতেও কার্যকর। এর প্রদাহনাশক গুণ জোড়ার ফোলা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো কাঁচা আদা খাওয়া বা চায়ে আদা মিশিয়ে পান করা হাড় ও জোড়ার জন্য উপকারী।
রসুনের ভূমিকা
রসুনে থাকা সালফার যৌগ হাড়কে শক্তিশালী করে এবং প্রদাহ কমায়। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া অথবা রান্নায় রসুন ব্যবহার করা জোড়ার ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তিল ও মেথির উপকারিতা
তিল ও মেথি দানায় ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিন থাকে, যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে হাড় শক্তিশালী হয় এবং ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
গরম তেলের মালিশ
সরিষার তেল বা নারকেল তেল হালকা গরম করে ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা অনেকটাই উপশম হয়।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
হাড় ও জোড়ার ব্যথা দূর করতে শুধু টোটকা নয়, জীবনযাত্রায়ও পরিবর্তন আনা জরুরি। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও হাঁটা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যথা অনেকটা কমে।
সতর্কতা
হাড় ও জোড়ার ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে বা হঠাৎ খুব বেশি বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় যথেষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি এই ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
No comments:
Post a Comment