H-1B ভিসার নিয়ম সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প H-1B ভিসার জন্য $100,000 ফি নির্ধারণ করেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বিদেশীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আইটি কোম্পানিগুলির জন্য দক্ষ কর্মীর ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। আশ্চর্যজনকভাবে, এই ভিসা ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থান তৈরি করা বিশিষ্ট প্রযুক্তি নেতারা নীরব রয়েছেন।
টেক জায়ান্টদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন
এলন মাস্ক, সুন্দর পিচাই এবং সত্য নাদেলার মতো বড় নাম H-1B ভিসায় আমেরিকায় এসেছিলেন এবং সেখানে দারুণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এখন ট্রাম্প প্রশাসন নতুন H-1B নিয়মের অধীনে ১০০,০০০ ডলারের মোটা অঙ্কের ফি ঘোষণা করেছে, তবুও এই প্রযুক্তি নেতারা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিসেম্বরে মাস্ক এই বিষয়ে প্রতিবাদী দেখা গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তার নীরবতা অবাক করার মতো।
ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের উপর প্রধান প্রভাব
নতুন নিয়মগুলি ভারতীয় পেশাদারদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। পরিসংখ্যান অনুসারে, H-1B ভিসাধারীদের প্রায় ৭১ শতাংশ ভারতীয়, এবং তাদের বেশিরভাগই প্রযুক্তি খাতে। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন হাজার হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং পেশাদাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে লড়াই করছেন। তবে, প্রশাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই নিয়ম শুধুমাত্র নতুন আগতদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং পূর্বে জারি করা ভিসাগুলিকে প্রভাবিত করবে না।
নতুন নিয়মের সত্যতা এবং বিতর্ক
ট্রাম্প প্রশাসন বলে আসছে যে এই ১০০,০০০ ডলার ফি এককালীন অর্থপ্রদান, বার্ষিক ফি নয়। তাদের যুক্তি, এই পদক্ষেপের ফলে কেবলমাত্র "অত্যন্ত দক্ষ" ব্যক্তিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারবেন এবং কোম্পানিগুলিকে বিদেশী পেশাদারদের দিয়ে আমেরিকান কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে বাধা দেবে। তবে সমালোচকরা মনে করেন যে এই সিদ্ধান্ত একটি বড় ধাক্কা হতে পারে, বিশেষ করে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য। H-1B ভিসা সংক্রান্ত এই নতুন আদেশ ভারতীয় আইটি সেক্টরে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সকলের নজর এখন সেই দিকেই যে মাস্ক, পিচাই এবং নাদেলার মতো বড় বড় ব্যক্তিরা এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন নাকি তারা দীর্ঘ সময় চুপ থাকবেন।
No comments:
Post a Comment