ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বই পরিণত হয় প্রেমে। আর প্রেমের টানেই কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দেয় জলপাইগুড়ির এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। কিন্তু অভিযোগ, সীমান্তের ওপারে গিয়ে প্রেমিকই তাকে চিনতে অস্বীকার করে। শেষমেশ বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের হস্তক্ষেপে মেয়েটি নিজের বাড়িতে ফিরতে সক্ষম হয়।
পরিবারের হাতে মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে পুলিশ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরাও।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার অন্তর্গত মাল মহকুমার ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। চলতি মাসের ৬ তারিখ প্রাইভেট টিউশনে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বহু খোঁজাখুঁজির পরও মেয়ের সন্ধান না মেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তদন্তে উঠে আসে, বাংলাদেশের পাটগ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই ছাত্রীটির। মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের আলাপ হয় প্রায় এক বছর আগে। পরে সেই সম্পর্ক গভীর হলে কোনও নথি বা অনুমতি ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে যুবক তাকে প্রত্যাখ্যান করে বলে অভিযোগ। এরপর নিরুপায় হয়ে তরুণী আশ্রয় নেন যুবকের এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
এই খবর পুলিশে পৌঁছলে ময়নাগুড়ি থানার মাধ্যমে বিএসএফ পদক্ষেপ নেয়। পরবর্তীতে বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্যে বৈঠকের পর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় শনিবার তরুণীকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।
অবশেষে নিজের মেয়েকে ফিরে পেয়ে পরিবারের চোখে জল আর মুখে কৃতজ্ঞতার হাসি— “পুলিশ, প্রশাসন আর সীমান্তরক্ষীদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ,” জানিয়েছেন তরুণীর পরিজনেরা।

No comments:
Post a Comment