সোমবার ভোর থেকে ফের তৎপরতায় নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বালি পাচার মামলার তদন্তে নেমে একযোগে চলছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি কলকাতার বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর এবং কল্যাণী-সহ প্রায় ২২টি জায়গায় চলছে এদিনের অভিযান।
তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে একাধিক বালি খাদান মালিক এবং তাঁদের কার্যালয়। অভিযোগ, পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার একটি বড় অংশ বিমা সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঘুরে গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই নামানো হয়েছে বিশাল টিম। গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের নয়াবসানে শেখ জাহিরুলের বাড়িতেও এদিন সার্চ অপারেশন চালায় ইডি। সুবর্ণরেখা নদীর ধারে অবস্থিত এই বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, আগে ভিলেজ পুলিশে কর্মরত থাকলেও পরে জাহিরুল বালি ব্যবসায় যুক্ত হন এবং একাধিক খাদানের মালিকানা তাঁর নামে রয়েছে বলে অভিযোগ।
শুধু বাড়ি নয়, তাঁর অফিস ও গাড়িও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বেলিয়াবেড়া ও জামবনি ব্লকের আরও কয়েকজন বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি-অফিসেও তল্লাশি চলছে। কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দিকেও নজর দিয়েছে তদন্তকারীরা। অভিযোগ, বালি পাচারের কালো টাকা বিমার মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখছে ইডি।
No comments:
Post a Comment