নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৭ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়েছে তাঁর। তবে একই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিন সংক্রান্ত আবেদন এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
বুধবারের শুনানিতে পার্থর পাশাপাশি ইমাম মোমিন, পঙ্কজ বনসল, নীলাদ্রি দাস, আব্দুল খালেক, পর্ণা বসু, সমরজিৎ আচার্য, দিলীপ ভৌমিক, রোহিত ঝা, সুবীর ঘোষ, জুঁই দাস এবং সৌমিত্র ঘোষও জামিন পেয়েছেন। তবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও অশোক সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত।
এর আগে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়ও জামিন পান পার্থ। যদিও গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-সহ একাধিক মামলায় তাঁর নাম থাকায় এখনই মুক্তি মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর দাবি, একই মামলায় অভিযুক্ত অনেকেই জামিনে মুক্ত হলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে “প্রভাবশালী ব্যক্তি” বলে দেখিয়ে বারবার আটকানো হচ্ছে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আইনের চোখে সবাই সমান।
আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন মাসে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মামলা রুজু হয়। ২৪ জুন ইডি তাঁকে হেফাজতে নেয়। অভিযোগ, গ্রেফতারের পর থেকে খুব কমবারই তাঁকে জেরা করা হয়েছে, অথচ দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “হেফাজতে রেখে জেরা না করা মানে শাস্তি দেওয়ারই সমান।”
বর্তমানে ওই মামলায় ১২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১১ জন জামিনে মুক্ত। আইনজীবীর যুক্তি, যেভাবে অন্যদের জামিন দেওয়া হয়েছে, একই শর্তে তাঁর মক্কেলকেও জামিন দেওয়া উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে নবম-দশম নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়া রাজ্যের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment