অন্যান্য কোম্পানির উপর এর প্রভাব কী হবে?
টিএসএমসি ছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি বৃহৎ কোম্পানি এসকে হাইনিক্স এবং স্যামসাং থেকেও এই ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে। উভয় কোম্পানিরই চীনে মেমোরি চিপ তৈরির কারখানা রয়েছে। এই বিষয়ে, মার্কিন সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আমেরিকান কোম্পানিগুলির ক্ষতি করে এমন নীতিগুলি বন্ধ করবে। সিএনবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রযুক্তিতে চীনকে পিছিয়ে রাখার জন্য এটি করা হচ্ছে।
টিএসএমসির পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি বৃহৎ দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি এসকে হাইনিক্স এবং স্যামসাংকে দেওয়া বিশেষ ছাড়ও প্রত্যাহার করেছে। এই দুটি কোম্পানিই চীনে মেমোরি চিপ তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল সেই নীতিগুলি বন্ধ করা যা আমেরিকান কোম্পানিগুলির স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ প্রযুক্তিতে চীনকে পিছনে রাখার কৌশলের একটি অংশ।
জি নিউজকে একটি পছন্দের উৎস হিসাবে যুক্ত করুন
টিএসএমসির উপর এর প্রভাব কী হবে তা জানুন
তবে, এই সিদ্ধান্ত টিএসএমসির উপর বড় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা কম। কোম্পানির চীনে দুটি চিপ উৎপাদন কারখানা রয়েছে, একটি সাংহাইতে এবং অন্যটি নানজিংয়ে। এর মধ্যে নানজিং কারখানাটিকে সবচেয়ে স্মার্ট বলে মনে করা হয় এবং মার্কিন নিয়মগুলি মূলত এটিকে প্রভাবিত করবে। তবে, টিএসএমসির মোট আয়ে চীনের এই কারখানাগুলির অংশ মাত্র ৩%, তাই এই সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানির গুরুতর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টিএসএমসি সিএনবিসিকে জানিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে মার্কিন সরকারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমেরিকা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে
সম্প্রতি, আমেরিকা চিপ রপ্তানিতে চীনকে কিছুটা শিথিলতা দিয়েছে, তবে চিপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে তারা কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে আমেরিকা চায় না যে চীন কোনও পরিস্থিতিতেই তার চিপ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করুক। একই সাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ তার দেশে চিপ উৎপাদন আরও বৃদ্ধির দিকে। আপনাকে জানিয়ে রাখি যে টিএসএমসি, এসকে হাইনিক্স এবং স্যামসাংও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও, তাদের দেওয়া বিশেষ ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment