সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৯ বছরের বিরতির পর প্রথমবার এসএসসি-র লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। রবিবার নবম ও দশম শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন ৩,১৯,৯১৯ জন প্রার্থী। পরীক্ষাটি নির্ধারিত সময়মতো শুরু হয়ে নির্বিঘ্নভাবে শেষ হয়েছে। এই সাফল্যের জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পরীক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩১ হাজারই রাজ্যের বাইরে থেকে, যেমন উত্তরপ্রদেশ, বিহারসহ অন্যান্য রাজ্য থেকে এসেছেন। অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ১০ শতাংশই বাংলার বাইরে থেকে এসেছে। এত বড় সংখ্যক প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা কোনও বিশৃঙ্খলা ছাড়া সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নবম ও দশম শ্রেণির এসএসসি পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে এবং তিনি আশা প্রকাশ করেছেন আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে।
প্রথম দফার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন যে, প্রশ্নপত্র সহজ ও মানানসই ছিল। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় প্রার্থীরা স্বস্তি অনুভব করেছেন। তারা মনে করছেন, এবার দুর্নীতির সুযোগ তেমন থাকবে না। কারণ এবার প্রথমবারের জন্য পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পেরেছেন। এছাড়া, পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিটের কার্বন কপিও হাতে পেয়েছেন। অনেকের মতে, এই নতুন নিয়মের ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠার সম্ভাবনা কমে যাবে।
তবে কিছু প্রার্থী এখনও দুর্নীতির সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে ইন্টারভিউ পর্যায়ে কোনো কারচুপি হবে কিনা তা নিয়ে। যোগ্য কিন্তু চাকরিহীন প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, যদি সরকার ও শিক্ষা দফতর সৎ থাকত, তবে এতদিনে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। তারা উল্লেখ করেছেন, অভিজ্ঞ প্রার্থীরা আবার নতুন প্রার্থীদের সঙ্গে একই পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে, যা ন্যায্য নয়।
এদিকে নবাগতদের মধ্যে যারা চাকরিহারাদের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা বলেছেন যে, প্রশ্নপত্র সহজ হলেও প্রতিযোগিতায় সমান সুযোগ নেই। কারণ, ২০১৬ সালের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত অভিজ্ঞ প্রার্থীরা অতিরিক্ত ১০ নম্বর সুবিধা পান। ফলে প্রথমবার পরীক্ষায় বসা নতুন প্রার্থীদের তুলনায় তাদের অবস্থান অনেকটাই সুবিধাজনক।
No comments:
Post a Comment