বিহার নির্বাচনের ঘোষণার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এ বছর দীপাবলির আশেপাশে রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে তার আগে, বিহারের জনগণের দীপাবলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে মোদী সরকার এবং রাজ্যের নীতীশ সরকারের এতে বিশেষ অবদান রয়েছে। এবার বিহারের মানুষ আনন্দের সাথে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কারণ তাদের পকেটে খরচ করার জন্য প্রচুর টাকা থাকবে।
আসলে, নির্বাচনের আগে, বিহারের নীতীশ সরকার এবং কেন্দ্রের মোদী সরকার একটি বড় ঘোষণা করেছে। বিহার সরকার মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল রাজ্যের মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করা এবং স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা। এই প্রকল্পের আওতায়, প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলা সদস্যকে ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এই পরিমাণ অর্থ মহিলাদের সেলাই, বুনন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হস্তশিল্প বা অন্যান্য ছোট ব্যবসা শুরু করতে উৎসাহিত করবে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে মহিলাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা। এই প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে এবং নির্বাচনের ঘোষণার আগে আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে। এর জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই আবেদন করা হবে।
জিএসটি হ্রাসের উপহার
বুধবার রাতে, বিহারিরা আরেকটি উপহার পেল। কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি হার ব্যাপকভাবে কমিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জিএসটি হারের জন্য সরকার সমালোচিত ছিল, কিন্তু এখন কেন্দ্রের মোদী সরকার সমগ্র দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছে। এর আওতায়, অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জিএসটি হার শূন্য শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে জিনিসপত্র সস্তা হবে এবং মানুষের পকেটে টাকা সাশ্রয় হবে। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে তারা আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সক্ষম হবে এবং এইভাবে দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। নতুন জিএসটি হার এই মাসের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর জিএসটি শূন্য।
জিএসটি কাউন্সিল রুটি, পরোটা থেকে শুরু করে চুলের তেল, আইসক্রিম এবং টিভি পর্যন্ত সবকিছুর উপর জিএসটি হার কমিয়েছে। এর সাথে সাথে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বীমা এবং জীবন বীমা প্রিমিয়ামের উপর কর বাতিল করা হয়েছে। এর সাথে সাথে দুধ, রুটি, ছেনা এবং পনিরের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর জিএসটি হার শূন্য করা হয়েছে। এটি দরিদ্রতমদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। কারণ এগুলি এমন জিনিস যা প্রতিটি ব্যক্তির প্রয়োজন।
জিএসটির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এটি একটি খুব বড় সংস্কার। দেশে জিএসটি বাস্তবায়নের পর থেকেই এর স্ল্যাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর ভারী জিএসটি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এমন পরিস্থিতিতে, এখন মোদী সরকার দীপাবলির আগে দেশবাসীকে একটি বড় স্বস্তি দিয়েছে। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা দরিদ্রতম থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণীর জন্য উপকারী হবে।
No comments:
Post a Comment