ঋণের বোঝা থেকে মুক্তির সহজ টোটকা! করুন নুন আর থালার বিশেষ উপায় - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, September 10, 2025

ঋণের বোঝা থেকে মুক্তির সহজ টোটকা! করুন নুন আর থালার বিশেষ উপায়

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০০:০১: আজকের দিনে অনেক মানুষ ঋণ আর ধারদেনার চাপে দিশেহারা। কারও ওপর ব্যাংকের লোন, কারও ওপর ব্যবসার দেনা বা বন্ধু-আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া টাকা সবসময়ই মনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। অনেকে চান একেবারে হঠাৎ করেই সব ঋণ মিটে যাক, কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না। যেমন ফসল বোনার পর ফল আসতে সময় লাগে, তেমনি ঋণমুক্তির উপায়েও ধৈর্য ধরে চেষ্টা করতে হয়।

ভোপালের জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা জানিয়েছেন, নুন দিয়ে করা এক সহজ কিন্তু শক্তিশালী টোটকা আছে, যা করলে ধীরে ধীরে ঋণের চাপ কমে এবং সংসারে সমৃদ্ধি আসতে শুরু করে।

টোটকা করার নিয়ম

১. শুক্রবার শুরু করুন
এই উপায়টি শুধু শুক্রবারেই করতে হবে। সেদিন সকালে প্রথমে নিজের ইষ্টদেবতা বা কুলদেবতার পূজা করুন। ধূপ, প্রদীপ, ফুল দিয়ে প্রার্থনা করুন।

২. নুন প্রস্তুত করুন
পিতল, তামা বা মাটির থালি নিন (স্টিল নয়)। সেই থালিতে অর্ধেক কেজি মতো মোটা নুন রাখুন। চাইলে হালকা গুঁড়োও করতে পারেন।

৩. ঋণের পরিমাণ লিখুন
এক টুকরো কাগজে আপনার যত টাকা ঋণ আছে, যেমন—১০,০০০ / ৫০,০০০ / ৭,০০,০০০—শুধু সংখ্যায় লিখুন, কথায় নয়।

৪. দেবস্থানে রাখুন
নুনভর্তি থালির ওপর কাগজটি রেখে দেবস্থানে রাখুন। প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করুন, যেমন এই নুন মাটিতে মিশে যাবে, তেমনই আপনার দেনাও মিটে যাক।

৫. রাতভর রাখুন
থালিটি রাতভর সেখানেই থাকুক। খেয়াল রাখবেন কেউ যেন নড়ায় না, আর কাগজে লেখা যেন না মুছে যায়।

৬. পরদিন পরীক্ষা করুন
সকালে দেখুন লেখা অক্ষত আছে কি না। যদি লেখা মুছে যায়, তবে বুঝবেন গ্রহবাধা আছে। সেক্ষেত্রে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

৭. ১১ দিনের জন্য মাটির কলসিতে রাখুন
যদি লেখা অক্ষত থাকে, তবে সেই নুন একটি নতুন মাটির কলসিতে ভরে মুখ কাপড়ে বেঁধে দেবস্থানে রেখে দিন। ১১ দিন পর্যন্ত সেটি সেখানেই থাকবে।

৮. নদীতে বিসর্জন দিন
১১ দিন পরে কলসিটি নিয়ে গিয়ে কোনও বয়ে চলা নদী বা জলে বিসর্জন দিন। এসময় প্রার্থনা করুন—যেমন নুন ভেসে যাচ্ছে, তেমনই যেন সব ঋণ ভেসে যায়।

ফলাফল কী হবে?

এই উপায়টি করলে মনে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, ঋণ শোধ করার নতুন পথ খুলতে শুরু করে। অনেক সময় অজানা উৎস থেকেও টাকা আসার সুযোগ তৈরি হয়। বহু মানুষ জানিয়েছেন, এই টোটকা তাঁদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে এবং ঋণের চাপ কমেছে।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

উপায়টি শুধু শুক্রবার করুন।

থালি বা কলসি একবার রাখার পর আর নড়াবেন না।

ঋণের অঙ্ক সবসময় সংখ্যায় লিখবেন।

লেখা মুছে গেলে আবার নতুন করে করবেন।

কলসি সবসময় প্রবাহমান জলে বিসর্জন দিতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad