Friday, September 19, 2025

ঘরের পূজায় ঘণ্টা বাজানোর গুরুত্ব! জানুন ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক রহস্য



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : ভারতীয় পূজা-পার্বণে ঘণ্টা বাজানো এক অঙ্গ। বড় মন্দির হোক বা ঘরের ছোট্ট পূজাঘর, পূজার শুরু হয় ঘণ্টার ধ্বনি দিয়ে। অনেকেই একে শুধু ধর্মীয় আচার মনে করেন, কিন্তু আসলে এর পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক কারণ। ঘণ্টা বাজানো শুধু ভক্তির প্রতীক নয়, এটি মন-শরীরের স্বাস্থ্যের সঙ্গেও গভীরভাবে যুক্ত।

যখন পূজার সময় ঘণ্টা বাজানো হয়, তখন তার কম্পন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ঘরে শান্ত ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি হয়। মানসিক চাপ কমে আসে এবং মনও স্থির হয়। বিশ্বাস করা হয়, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঘণ্টাধ্বনি দিনের পুরো এনার্জি বদলে দিতে পারে।

পূজার সময় মন যদি এদিক-ওদিক ছুটে যায়, ঘণ্টার ধ্বনি তাকে আবার পূজার দিকে ফিরিয়ে আনে। এতে মস্তিষ্ক সতেজ হয় এবং মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। তাই পূজার শুরু এবং শেষে ঘণ্টা বাজানোকে শুভ ধরা হয়। এতে পূজার ফলাফল আরও গভীর হয়।

যদি দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে অশান্তি, দাম্পত্য কলহ বা টেনশন চলতে থাকে, তবে প্রতিদিন পূজার সময় ঘণ্টা বাজানো বিশেষ উপকারী। এর কম্পনে বাড়ির পরিবেশ শুদ্ধ হয় এবং ধীরে ধীরে নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়। বাস্তু মতে, এটি একটি সহজ কিন্তু কার্যকরী প্রতিকার।

কোন ধাতুর ঘণ্টা শ্রেয়?

ঘণ্টি কোন ধাতুর তৈরি, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পিতল বা কাঁসার ঘণ্টার শব্দ সবচেয়ে কার্যকরী। এই ধাতুর কম্পনে চারপাশে ইতিবাচক এনার্জি ছড়িয়ে পড়ে। তাই মন্দিরগুলোতে সাধারণত পিতল বা কাঁসার ঘণ্টিই ব্যবহার করা হয়। এতে পূজার পরিবেশ আরও পবিত্র হয় এবং ভক্তি গভীরভাবে অনুভূত হয়।

দেব-দেবীকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতীক

শাস্ত্রমতে, ঘণ্টা বাজানো কেবল শব্দ সৃষ্টি নয়, এটি দেব-দেবীদের পূজায় আহ্বান জানানোর প্রতীক। ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে ভক্ত যেন দেবতাদের ডাক দেন—“পূজা শুরু হয়েছে, আপনার আগমন কাম্য।” বিশ্বাস করা হয়, এতে দেবতারা সহজেই প্রসন্ন হন এবং ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

No comments:

Post a Comment