প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : রাতে ঘুম আমাদের শরীর ও মনের শান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, আপনি কোন দিকে পা করে ঘুমোচ্ছেন? ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে এসেছি যে শোওয়ার সময় দরজার দিকে পা করে ঘুমানো উচিত নয়। অনেকে একে কেবল কুসংস্কার বলে মনে করেন, কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র ও আধুনিক বিজ্ঞান – দু’দিক থেকেই এই বিষয়ে ব্যাখ্যা রয়েছে। আসলে, দরজা শুধু ঘরের প্রবেশ পথ নয়, এটি শক্তির প্রবাহেরও প্রধান কেন্দ্র। তাই ঘুম ও মানসিক শান্তি সরাসরি এর প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ভোপালের জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা।
বাস্তুশাস্ত্রে ঘরের মূল দরজাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ হয়। যদি কেউ ঘুমের সময় পা দরজার দিকে রাখে, তবে বিশ্বাস করা হয় যে নেতিবাচক শক্তি সরাসরি তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই একে অশুভ ধরা হয়।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা বলতেন, দরজার দিকে পা করে শোওয়া মানে দেবতা ও গৃহলক্ষ্মীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা। তাই বহু প্রজন্ম ধরে এই নিয়ম মানা হয়েছে। এটি শুধু ঐতিহ্য নয়, বরং শৃঙ্খলা ও সতর্কতার একটি দিকও বলা যায়।
এটি কেবল কুসংস্কার নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দরজা দিয়ে আসা-যাওয়া, হাওয়া-বাতাস ও নড়াচড়া অনেক সময় ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। এর ফলে মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রাম পায় না এবং গভীর ঘুম নষ্ট হয়। তাই বাস্তুশাস্ত্রে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে ঘুম শান্তিপূর্ণ হয় এবং শরীর-মন রিল্যাক্স থাকে।
শুধু ভারতে নয়, পশ্চিমা দেশেও এটিকে অশুভ ধরা হয়। সেখানে একে বলা হয় “কফিন পজিশন”। কারণ অতীতে মৃতদেহকে দরজার দিকে পা করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো। তাই এই ভঙ্গিতে শোওয়া তাদের কাছেও অশুভ বলে মনে করা হয়।
কীভাবে সমাধান করবেন?
যদি ঘরের গঠন এমন হয় যে আপনার পা দরজার দিকেই পড়ে, তবে চিন্তার কিছু নেই। বাস্তুশাস্ত্রে এর সহজ সমাধান বলা হয়েছে—
১. বিছানা ও দরজার মাঝে পর্দা বা পার্টিশন দিন।
২. ঘুমের সময় দরজা বন্ধ রাখুন।
৩. ঘরে হালকা আলো রাখুন ও পরিচ্ছন্ন রাখুন, এতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বজায় থাকে।
এই ছোট ছোট উপায়ে দরজার দিকে পা করে শোওয়ার নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো সম্ভব, আর ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় রাখা যায়।
No comments:
Post a Comment