ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের কোয়েটা। মঙ্গলবার দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ জনের মৃত্যু এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। কোয়েটার জারঘুন রোডে এই বিস্ফোরণ ঘটে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের পর ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ শহরজুড়ে হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দিয়েছে। বিস্ফোরণে আহতদের সিভিল হাসপাতালের দুর্ঘটনা ও জরুরি বিভাগ এবং ট্রমা সেন্টারে আনা হয়েছে।
পুলিশের মতে, জারঘুন রোডের কাছে ঘটা এই বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, আশেপাশের ভবনগুলির জানালা এবং দরজা ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ফ্রন্টিয়ার কর্পস কর্মীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
পরিস্থিতি দেখে, বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত মুহাম্মদ কাকার শহরের সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সমস্ত ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, স্টাফ নার্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের কর্তব্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
বর্তমানে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলির বরাত দিয়ে এমন তথ্যও সামনে এসেছে যে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে যে ধরণের সূচনা মিলেছে, তাতে জানা যাচ্ছে বিস্ফোরণের পর দূর থেকে ধোঁয়ার এক বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৪ঠা সেপ্টেম্বর কোয়েটায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হন। বেলুচিস্তান প্রায় দুই দশক ধরে অস্থিরতার মুখোমুখি হচ্ছে। স্থানীয় জাতিগত বালুচ গোষ্ঠী এবং তাঁদের সহযোগী দলগুলির অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার প্রদেশের খনিজ সম্পদ শোষণ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে বেলুচ বিদ্রোহীরা।
No comments:
Post a Comment